" />
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বিজয় নগর পানির ট্যাংকের সামনে থেকে ১২ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা গণ মিছিল বের করে। মিছিল নিয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে জোটের নেতারা বিজয় নগর পানির ট্যাংকের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু করে পুরানা পল্টন মোড়ে ঘুরে নাইটিঙ্গেল মোড়ে গিয়ে মিছিল শেষ করেন।
মিছিলে মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি (জাফর), মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীকের নেতৃত্বে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ লেবার পার্টি, সৈয়দ এহসানুল হুদার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয় দল, কে এম আবু তাহেরের নেতৃত্বে এনডিপি, শাহাদাত হোসেন সেলিমের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এলডিপি, জুলফিকার বুলবুল চৌধুরীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, মুফতি মহিউদ্দিন ইকরামের নেতৃত্বে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, মাওলানা আবদুর রকীবের নেতৃত্বে ইসলামী ঐক্যজোট, তাসমিয়া প্রধানের নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, আবুল কাসেমের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির শীর্ষনেতারা অংশ নেন।
এদিকে গণমিছিলের আগে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, দেশের রাজনীতির ইতিহাসে আজ নতুন পর্বের সূচনা হয়েছে। যুগপৎ আন্দোলন এ দেশে নতুন পরিস্থিতির জন্ম দেবে বলে মনে করেন এই নেতা।
সভাপতির বক্তব্যে মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। আগামী ১১ জানুয়ারির নতুন আরেকটি কর্মসূচি ঘোষণা দেন তিনি। ওই দিন বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান মোস্তফা জামাল হায়দার। বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা দাবি আদায়ে এই কর্মসূচি দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
গণসমাবেশ পূর্ব সমাবেশে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ডিসেম্বর মাসে বিজয়ের যাত্রা শুরু হয়েছে। বিজয় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবেন না। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন করে তারা ঘরে ফিরবেন।
তিনি বলেন, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ১৭০ দিন হরতাল করেছিল। ক্ষমতায় এসে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছে। অবিলম্বে সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল উত্থাপন করতে হবে। রাজবন্দীদের মুক্তি দিতে হবে।
গণমিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন কাজী মাহমুদ আবু তাহের, শাহাদাত হোসেন সেলিম, মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, গোলাম মো: ইকরাম, আবদুল করিম রাশেদ প্রধান, আবুল কাশেম প্রমুখ।