" />
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে নিহত মকবুল হোসেনের লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার লাশের ময়না তদন্ত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক সোহেলী মঞ্জুরী। পরে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মকবুলের পরিবার আজ বৃহস্পতিবার রাতেই তার লাশ কালশি কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন তার মেঝভাই নুর হোসেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মকবুলের মেঝভাই নুর হোসেন এনডিটিভি’কে বলেন, কিছুক্ষণ আগে ময়না তদন্ত শেষ হয়েছে। এখন আমার ভাইয়ের লাশ নিয়ে মিরপুরের বাসায় যাচ্ছি। আজ বৃহস্পতিবার রাতেই তার লাশ কালসি কবরস্থানে দাফন করা হবে। ভাইকে হারিয়েছেন এখন ভাইয়ের হত্যার অভিযোগে কোন আইনি প্রতিকার চাইবেন ? এমন প্রশ্নের জবাবে নুর হোসেন বলেন, আমরা চার ভাই। এরমধ্যে সবার ছোট মকবুল মারা গেলো। এখন আমরা তিনভাই আছি। বাসায় গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।
নিহত মকবুল হোসেন নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার আবদুস সামাদের ছেলে। তিনি মিথিলা নামের সাত বছরের একটি মেয়ে সন্তানের বাবা ছিলেন। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। এদিকে স্বামীকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে গেছেন তার স্ত্রী হালিমা বেগম।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নিহত মকবুল হোসেনের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সঙ্গে মর্গে গিয়ে মকবুলের লাশ দেখেন। নিহতের ভাই নূর হোসেন বলেন, মির্জা ফখরুল হাসপাতালে এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি মকবুলের স্ত্রী ও কন্যা সন্তানকে সান্ত্বনা দিয়েছেন। বিএনপি মহাসচিব মকবুলের পরিবারকে আর্থিক সহায়তাও করেন।
এরআগে বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে পুরো এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান মকবুল হোসেন। আহত হন অনেকে। পরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। একই সঙ্গে বিএনপির প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনটি মামলা করেছে পুলিশ । মামলায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে আর অজ্ঞাত দুই হাজারের মত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় কমপক্ষে পাঁচশতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।