" />
গত ১৮ বছরে জাতীয় দলের ম্যাচে কখনই বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হয়নি পর্তুগীজ মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে। গত রাতে নকআউটের ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে এই ঘটনা ঘটল।
কাতার বিশ্বকাপের শুরু থেকেই পর্তুগাল কোচ রোনালদোকে প্রথম একাদশে খেলিয়েছেন। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচের ৬৫তম মিনিটে রোনালদোকে তুলে নিয়েছিলেন ফার্নান্দো সান্তোস। ঝামেলার শুরু তখন থেকেই। পুরো সময় না খেলানোয় রোনালদো রেগেমেগে এক কোরিয়ান খেলোয়াড়ের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়ান। পরে কোচের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমাকে তুলে নিতে তার তর সইছে না।’ এরপর থেকেই জল্পনা শুরু হয়, শেষ ষোলোর ম্যাচে রোনালদোকে কি একাদশে দেখা যাবে? জল্পনা শেষে সত্যি হয়েছে, ফুটবল বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে রোনালদোকে একাদশে রাখেননি সান্তোস। যদিও এটি ছিল তার সাহসী সিদ্ধান্ত। পর্তুগীজ তারকাকে বেঞ্চে রেখে সান্তোস খেলিয়েছেন ২১ বছর বয়সী গঞ্জালো রামোসকে। পর্তুগালের ৬-১ গোলে জয়ের রাতে সব আলো একাই কেড়ে নিয়েছেন তিনি। হয়ে গেলেন ‘হ্যাটট্রিক হিরো’।
তবে সিআরসেভেনকে বেঞ্চে রাখায় কোচের প্রতি ক্ষেপেছেন রোনালদোর বোন এলমা অ্যাভেইরো। তার দাবি, রোনালদোকে অপমান করেছে কোচ সান্তোস। অ্যাভেইরো লিখেছেন, ‘হ্যাঁ, রোনালদো চিরস্থায়ী নয়। রোনালদো তো সারাজীবন খেলবে না। সে বুড়ো হয়ে গেছে, রোনালদোকে পর্তুগালের প্রয়োজন নেই। সে কী করেছে এই পর্যন্ত, তা আমরা ভুলে গেছি। এখন তাদের রোনালদোকে প্রয়োজন নেই। এটা মনে রাখলাম এবং সময় মতো এর জবাব দেবো আমরা।’
দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচের ঘটনা তুলে রোনালদোর বোন অ্যাভেইরো লিখেছেন, ‘সান্তোস, রোনালদো তোমার কাছে কেন ক্ষমা চাইবে? জাতীয় দলে অনেক অবদান রাখা একজন খেলোয়াড়কে এভাবে অপমান করা লজ্জাজনক। তবে আমি নিশ্চিত, ঈশ্বরই এর বিচার করবেন। আমিও দেখবো ভবিষ্যতে কী হয়।’