" />
নাটোর প্রতিনিধিঃ নাটোরের সিংড়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপে সংঘর্ষে ১৪ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় পুলিশ ৯ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
শনিবার(৩ ডিসেম্বম) সকালে সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের বেড়াবাড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আহতদের কয়েকজনকে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এবং গুরুতর আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহতরা হলেন- ওই গ্রামের মৃত ওসমান আলীর ছেলে আঃ মান্নান হাজী (৫৫), সেহাব উদ্দিনের ছেলে আমিনুল ইসলাম তালুকদার (৭০), আক্কাস আলীর ছেলে শামীম হোসেন (৩০) ও সবুজ হোসেন (৩৫), রফিকুল ইসলাম খন্দকারের ছেলে মোঃ নয়ন হোসেন (২৫), রহিদুল ইসলামের ছেলে আঃ রউফ (৩০), বিপ্লবের ছেলে দিপন (৩২), অফিজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ শুভ (২৪), মোঃ আমানত হোসেমের ছেলে মোঃ সাইদুল ইসলাম (৩০), আঃ জলিলের ছেলে মোঃ মুনসুর (৪৫), মোঃ সাগের উদ্দিনের ছেলে মোঃ বাবু (৪৫), বাপ্পি তালুকদারের স্ত্রী শিরিনা বেগম (৩৫), মোঃ সোহাগের স্ত্রী লাকি বেগম (৩০), মেছের আলী তালুকদারের ছেলে মোজাম্মেল হক (৫০) এবং অপর পক্ষের মোঃ জয়নাল (৫০), সেন্টু মোল্লা (২৮), শুভ মোল্লা (২৭) ও হেলাল (২৮)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে তার স্বামী হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি সাইফুলের নেতৃত্বে স্বাক্ষীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা বন্দুকের গুলিও ছোড়ে। এছাড়া ধারালো অস্ত্র দিয়ে কয়েকজন কুপিয়ে আহত করে। ১৪জন গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হন। এছাড়া মোজাম্মেল, লাকী বেগম ও শিরিনা বেগমকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ সাইফুল গ্রুপ। তাদের সিংড়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করার পরে আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অভিযুক্ত সাইফুল বলেন, আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। বেশ কয়েকদিন ধরে তিনি নাটোরে রয়েছেন। তাকে বিপদগ্রস্ত করতে প্রতিপক্ষরা এই ঘটনা নিজেরা করে আমাদের ওপর দায় চাপাচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মানিক হোসেন বলেন, দুই ভাই সাইফুল ও রেজাকে বিপদে ফেলতে আনোয়ার ও তার সমর্থকরা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। তারা সাইফুল-রেজার সমর্থকদের ওপর অর্তকিতে হামলা করে এবং অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলিও চালায়। এতে অনেকেই আহত হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল মজিদ মামুন বলেন, বেড়াবাড়ি গ্রামে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন যাবৎ। বার বার চেষ্টা করেও ওই দুই গ্রুপের মধ্যকার বিরোধের সমাধান করতে পারিনি। প্রশাসনের কাছে আবেদন এলাকায় শান্তি ফেরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান তিনি।
সিংড়া থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের সময় রাবার গুলি বর্ষণ করার সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে কোন পক্ষ থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সংঘর্ষে ১৩/১৪ জন আহত হয়েছেন। আহতদের শরীরে রাবার বুলেটের অস্তিত্ব রয়েছে। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।