" />
নাটোর প্রতিনিধি: মহাসড়কে নছিমন, করিমন, ভটভটিসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধসহ ১০ দফার দাবীতে রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলায় পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে এ পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
এতে করে সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার(১ ডিসেম্বর) সকালে নাটোর শহরের বড় হরিশপুর বাইপাস, মাদ্রাসা মোড়, বেলঘড়িয়া বাইপাস, তেবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থানে গাড়ির জন্য যাত্রীদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। যাত্রীরা অটোরিক্সা, ভ্যানে চড়ে কাজে যেতে দেখা গেছে। তবে যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন ভাড়ার চেয়ে কয়েক বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের।
শহরের হরিশপুর বাইপাসে আসা যাত্রী লাভলী বেগম বলেন, আমার মেয়ের খুব অসুস্থ্য তাকে দেখতে বনপাড়া যেতে হবে। ভোরে ইয়াছিনপুর থেকে বের হয়ে আসি। এখানে এসে শুনলাম বাস নাকি বন্ধ। কোন সিএনজি বাস কিছুই চলছে না। এখন কি ভাবে মেয়েকে দেখতে যাবো সেই চিন্তায় বসে আছি যানবাহনের আশায়।
মো. সেলিম খান নামে আরেক যাত্রী বলেন, একটি জরুরি কাজে বানিশ্বর যেতে। কাল শুনেছিলাম আজ থেকে ধর্মঘট। ভেবেছিলাম সিএনজি পাওয়া যাবে। এসে দেখি সিএনজি নেই, সবকিছু বন্ধ। এখন কি ভাবে যাবো তাই ভাবছি। ভ্যানে হলেও আমাকে যেতে হবে।
আলমগীর করিম নামে এক ব্যবসায়ী জানান, ব্যবসার কাজে বনপাড়া যেতে হবে। এসে দেখি বাসসহ কোন যানবহন চলছে না। খুব বিভ্রান্তির মধ্য পড়ে গেছি। যে ভাবে হোক আমাকে বনপাগায় পৌঁছাতেই হবে। এক অটোরিকসা চালকে বললাম সে ৪০০ টাকা ভাড়া চাচ্ছে। যেখানে বাসে ৪০ টাকা ভাড়া। কিছু দিন পর পর কিসের সব ধর্মঘট হয় বুঝি না। আমরা সাধারণ মানুষ কাজ করে যে খাবো তাও পারি না।
বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি লক্ষন পোদ্দার বলেন,সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংশোধান, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে নছিমন, করিমন, ভটভটিসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ ও জ্বালানি তেলসহ ১০ দফার দাবীতে আমাদের ধর্মঘট চলছে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এড এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, এ ধর্মঘট বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে। যাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী সমাবেশে না যেতে পারে এজন্য ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ গুলোতে কয়েক দিন আগ থেকেই এমন ধর্মঘটের ডাক দিয়ে আসছে। কিন্তু যতই ধর্মঘটের ডাক দিক না কেন রাজশাহী বিএনপির সমাবেশ জনস্রোতে পরিণিত হবে।