" />
বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরে জান্নাতুল ফেরদৌস নামে এক স্কুলছাত্রীর বুদ্ধিমত্তায় অক্ষত থাকলো উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সব নথিপত্র। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) রাত ৮টায় পৌর শহরের হাটখোলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। জান্নাতুল ফেরদৌস শেরপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী।
জান্নাতুল জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আমার বাড়ির পাশের একটি দোকানে আগুন লাগলে সবাই নেভানোর চেষ্টা করছিল। এসময় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন করে কাউকে পাইনি। পরে থানায় জানানোর কিছুক্ষণের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফলে অক্ষত থাকে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র।
জানা গেছে, সাব রেজিস্ট্রার অফিসের পাশের একটি দোকানে অগ্নিকা-ের সূত্রপাত হলে ওই স্কুলছাত্রী ফায়ার সার্ভিসে ফোন দেয়। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের কেউ ফোন না রিসিভ করলে মেয়েটি ট্রিপল নাইনে ফোন করে সংশ্লিষ্ট থানায় খবর দেয়। পরে থানা থেকে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিটের ১ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
শেরপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখকের সভাপতি এস এম ফেরদৌস জানান, যখন সবাই আগুন নেভাতে ব্যস্ত তখন ওই স্কুলছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস শেরপুর থানার মাধ্যমে ফায়ার সার্ভিসকে অবগত করলে কিছুক্ষণের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ও দোকানের মালিক আব্দুল কুদ্দুস জানান, আমি ৩৫ বছর ধরে ব্যবসা করছি। আমার দোকানে প্রায় অর্ধকোটি টাকার রেকসিন, পলিথিন ও প্লাস্টিকের যাবতীয় আসবাবপত্র ছিল।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার আতাউর রহমান জানান, একটি মেয়ের কল পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে অবগত করি। ঘটনার স্থল পরিদর্শন করেছি।
শেরপুর ফায়ার এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ওয়্যার হাউজ নাদির হোসেন জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করি। তবে পলিথিন ও প্লাস্টিক থাকার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বাড়ি ও দোকানসহ প্রায়অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।