মিয়ানমারে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সাথে সেনাবাহিনীর তুমুল যুদ্ধ - নাগরিক দৃষ্টি টেলিভিশন " /> মিয়ানমারে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সাথে সেনাবাহিনীর তুমুল যুদ্ধ - নাগরিক দৃষ্টি টেলিভিশন
শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন
নিউজ বোর্ড :
ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর নারী কে, পুরুষ হত্যা করা যাদের নেশা ছিলো? জাহেলী যুগে দাস-দাসীদের অবস্থা কেমন ছিল? মালদ্বীপে কেক কেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭’তম জন্মদিন পালন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জয়ার অনুপ্রেরণা সজীব ওয়াজেদ ভার্জিনিয়ায় মায়ের জন্মদিন উদযাপন করেছেন সততার সঙ্গে দেশের ভাবমূর্তি জোরদারে কাজ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান পৌঁছেছে রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রে ভয় দেখান ফখরুল,নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন: ওবায়দুল কাদের নারীর নিরাপত্তা থাকবে না আ.লীগ ফের ক্ষমতায় এলে: ফখরুল খালেদা জিয়া ফের সিসিইউতে সেমিফাইনালেই হেরে গেছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বাংলাদেশে প্রয়োজন অনুসারে যে কাউকেই নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র বোমা বিস্ফোরণে পাকিস্তানে নিহত ৫২ বাংলাদেশের অধিনায়ক মিরাজ ,সাকিব নয় সাকিবকে নিয়ে বড় দুঃসংবাদ বিশ্বকাপে মিরপুরে ছুরিসহ ৩ ছিনতাইকারী গ্রেফতার বমি করে সব ছিনিয়ে নেয় তারা! নওগাঁ জমি-জমা নিয়ে পৃথক দু’ স্থানে সংঘর্ষ মাশরাফি মনে করিয়ে দিলেন ,প্রধানমন্ত্রী চেয়েছিলেন তামিম যেন খেলে নিজের ছেলের শুক্রাণুতে “মা” হলেন স্প্যানিশ অভিনেত্রী আনা ওবরেগনের বারবার ব্যর্থ হয়েছে,বাঙালী সংস্কৃতির চেতনাকে রুখে দেবার চেষ্টাকারীরা ’রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন
নোটিশ বোর্ড :
জরুরি ঘোষণাঃ আমাদের আই টি বিভাগের কারিগরি উন্নয়ন এর কাজ চলছে! এতে প্রচারে বিঘ্ন ঘটতে পারে সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত। #Ndtvbdnewsroom “জরুরী আবশ্যক”বেসরকারী অনলাইন টেলিভিশন চ্যানেল ” নাগরিক দৃষ্টি টেলিভিশন ” এনডিটিভি তে এ উপস্থাপক উপস্থাপিকা, ভয়েস আটির্স,অফিস সহকারী পুরুষ – মহিলা এসএসসি,এইচএসসি,স্নাতক,ছবি সহ আবেদন করতে হবে এই মেইলে hr@ndtvbd.com * পরিক্ষামুলক সস্প্রচার * পরিক্ষামুলক সস্প্রচার * নাগরিক সাংবাদিকতার পথে ,আপনি হতে পারেন নাগরিক সাংবাদিক, দেরি না করে এখনি পাঠিয়ে দিন আপনার ছবি সহ বায়োডাটা এই মেইলে hr@ndtvbd.com, আপনারা যদি কোন সংবাদ বা নিউজ ক্লিপ পাঠাতে চান তাহলে এই মেইলে পাঠাতে পারেন news@ndtvbd.com– Head Of News–* পরিক্ষামুলক সস্প্রচার * পরিক্ষামুলক সস্প্রচার * পরিক্ষামুলক সস্প্রচার * পরিক্ষামুলক সস্প্রচার * পরিক্ষামুলক সস্প্রচার

মিয়ানমারে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সাথে সেনাবাহিনীর তুমুল যুদ্ধ

383958 152

8 / 100

মিয়ানমারে অভ্যন্তরে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সাথে সেনাবাহিনীর তুমুলযুদ্ধ চলছে। সীমান্তরেখা বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সূত্রে এমন পরিস্থিতির তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের মতে ইতোমধ্যে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে অনেক এলাকা। সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের কাউয়ার পাড়া, ফকিরাপাড়া, বলিবাজার, ঢেঁকিবনিয়া এলাকার বেশি ভাগ বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। এসব এলাকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে। বিদ্রোহীরা ক্রমাগত শক্তি বাড়াচ্ছে। ফলে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীও আক্রমণ বাড়াচ্ছে। গেল ১ মাসের বেশি সময় ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার থেকে মর্টার শেল, গোলাগুলিসহ নানা ভারী অস্ত্রের আওয়াজে এ পারের ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু ও বাইশফাঁড়ি এলাকার ২৪ হাজার মানুষ মারাত্মক আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে উখিয়ার আঞ্জুমানপাড়া সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এসব গোলাগুলি ও মর্টার শেলের বিকট শব্দ শোনা যায়।

৫ নম্বর পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে ৭টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত মিয়ানমারের অভ্যন্তরে একটানা গোলাগুলি ও মর্টারের গোলার বিকট শব্দ হচ্ছে। এসব গোলাগুলি ও মর্টারের গোলার শব্দে কেঁপে উঠছে উখিয়ার আঞ্জুমানপাড়ার সীমান্তবর্তী বসতিগুলো। এর ফলে সীমান্তের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছে। সকালে ৪৫ মিনিট গোলাগুলির পর আর কোনো শব্দ পাইনি। গোলাগুলি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, সীমান্তে শূন্যরেখার ৩০০ থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে বসবাসকারী বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা আসে। এরই মধ্যে জরিপ করে ঝুঁকিতে থাকা ১০০ পরিবারের তালিকা করা হয়েছে। যদি সীমান্তে কোনো ধরনের বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তাহলে ঝুঁকিতে থাকা এসব পরিবারের লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পালংখালী ইউনিয়নের ধামনখালী, পূর্ব জমিদার পাড়া ও পূর্ব বালুখালী সীমান্ত এলাকায় শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের তালিকা প্রশাসনের
কাছে দেয়া হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে মিয়ানমারের ছোড়া কয়েকটি মর্টার শেল এসে পড়ে বাংলাদেশের কোনারপাড়ায় ও শূন্যরেখার আশ্রয় শিবিরে। কোনারপাড়ার মর্টার শেলটি বিস্ফোরিত না হলেও শূন্যরেখায় পড়া মর্টার শেলটি বিস্ফোরিত হয়ে মারা যায় এক রোহিঙ্গা। এ সময় আহত হয় আরো ৫ জন। পরিকল্পিতভাবে মিয়ানমারের বাহিনী মর্টার শেল নিক্ষেপ করছে বলে দাবি রোহিঙ্গাদের।

383958 152

এদিকে ২০১৭ সালে ২৫ আগস্টের পর রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঢল সবচেয়ে বেশি ছিল এই ইউনিয়ন দিয়ে। ওই সময় ৯ লাখের বেশি রোহিঙ্গা উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে আশ্রয় নিলেও ব্যতিক্রম ছিলেন ৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা। যারা ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রুর কোনারপাড়ার বিপরীতে শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া নিকটেই অবস্থান নিয়ে ছিলেন। গত পাঁচ বছর ধরে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত ৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা এই শূন্য রেখায় অবস্থান করে মিয়ানমার সীমান্তের সকল পরিস্থিতি কাছ থেকে দেখে আসছেন। উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্পে আশ্রয়রত রোহিঙ্গার ত্রাণ সহ সকল সহায়তার দায়িত্বে রয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের শরাণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়। কিন্তু শূন্য রেখার রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (আইসিআরসি)। গত মাস ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যে সংঘাতময় পরিস্থিতি চলছে তার সবচেয়ে কাছের সাক্ষী শূন্য রেখার এসব রোহিঙ্গারা। এই শূন্য রেখায় বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের নেতা দিল মোহাম্মদ।

তিনি জানান, তিনি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মেদিপাড়ার বাসিন্দা। টানা ১০ বছরের বেশি সময় মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মিয়ানমারের এসব সীমান্তবর্তী এলাকা তার চেনা-জানা রয়েছে। রোববার মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত টানা গোলাগুলি হয়েছে। কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকলেও সোমবার সকাল ৯টা থেকে আবারো থেমে থেমে ছোড়া হচ্ছে আর্টিলারি ও মর্টারের গোলা। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, গোলাগুলি হচ্ছে একতরফাভাবে।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে কী হচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তরে শূন্য রেখায় বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের অপর নেতা মোহাম্মদ আরিফ জানান, মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের চেহারা ও পোশাক মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মতো। এখানে কে বিদ্রোহী কে সেনা সদস্য বোঝা মুশকিল। এতে বিদ্রোহীদের সুবিধা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে কোনো রোহিঙ্গা ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা দেখছেন না তিনি। তিনি জানান, যে এলাকায় সংঘাত সেখানে আগে থেকে রোহিঙ্গা শূন্য। যেখানে রোহিঙ্গা নেই সেখানে অনুপ্রবেশ কিভাবে করবে। যেসব রোহিঙ্গা রয়েছে তারা মংডুর কাছাকাছি। তারা মিয়ানমারের এ সীমান্তে পৌঁছার সুযোগ নেই।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি বা গোলার শব্দ হচ্ছে। এটা যদি উখিয়া সীমান্তের কাছে বসবাসরত বাসিন্দা বা জনপ্রতিনিধিরা বলে থাকে তাহলে সেটা ঠিক আছে। তবে আমরা সীমান্তের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করছি। আর সীমান্তে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা