" />
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযাযী, রোববার রানির শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে লন্ডনের স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। লন্ডনে গত কয়েক দশকে এমন সমাবেশে যোগ দিতে দেখা যায়নি এমন প্রায় ৫০০ রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন বাইডেন। ১৯ সেপ্টেম্বর সোমবার অনুষ্ঠিত হবে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান। ইতোমধ্যে সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিশ্বের সব নেতারা পৌঁছেছেন যুক্তরাজ্যে।
ইতোমধ্যে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীও যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। তবে রানির শেষকৃত্যে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের মতো আমন্ত্রিত কয়েকজন অতিথিকে ঘিরে বিতর্ক হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ এবং নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন, অন্যান্য কমনওয়েলথ নেতাদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহে রানির শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ওই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
অন্যান্য বিশ্বনেতাদের মধ্যে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, আইরিশ তাওইস্যাচ মাইকেল মার্টিন, জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ওয়াল্টার স্টেইনমায়ার এবং ইতালির প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাতারেলা উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও ইউরোপ জুড়ে রাজপরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন।
অতিথিরা ওয়েস্টমিনস্টার হলে রানির কফিনে শ্রদ্ধা জানাবেন এবং ল্যাঙ্কাস্টার হাউসে একটি শোক বইতে স্বাক্ষর করবেন। এর আগে রোববার বাকিংহাম প্যালেসে রাজা তৃতীয় চার্লস আয়োজিত একটি আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন আমন্ত্রিত নেতারা।
ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছেন না চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তার পরিবর্তে ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং কিশান যুক্তরাজ্য সফর করবেন।
এছাড়াও রানির শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য ইরান, উত্তর কোরিয়া (ডিপিআরকে) এবং নিকারাগুয়ার রাষ্ট্রপ্রধানদের পরিবর্তে কেবল রাষ্ট্রদূত পাঠানোর জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।