যখন কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করে লিগ ওয়ানের ক্লাবটি, তারপর গুঞ্জন আরও ডালপালা মেলে। কিলিয়ানও চাননি নেইমারকে, এমনকি পিএসজির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর পেছনে এটাও ছিল একটা শর্ত। মাঠেও এর প্রভাব পড়ে। দু’জনের বল পাস না দেওয়া, ওয়ার্মআপে মুখ দেখাদেখি বন্ধ, এরপর পেনাল্টি নিয়ে কাড়াকাড়ি। এসবও সেই আভাস দিয়েছিল। কথায় আছে দুঃসময়ের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু। কিন্তু পিএসজি কি নেইমারের প্রকৃত বন্ধু হতে পেরেছে? গত মৌসুম থেকেই ফরাসি দৈনিকগুলো নেইমারকে নিয়ে নেতিবাচক খবর ছাপিয়ে যায়। মাঠের অফফর্ম ও মাঠের বাইরের বিতর্ক নিয়ে খোদ ক্লাব কর্তারাও নাকি নেইমারের ওপর নাখোশ ছিলেন।
সে সময় পিএসজির মালিক খেলাইফি থেকে শুরু করে সবাই মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। এখন যখন নেইমার ফর্মে, নিয়মিত গোল করছেন, দল জেতাচ্ছেন, তখন পিএসজির স্পোর্টিং ডিরেক্টর ক্যাম্পোস বললেন, যা চাউর হয়েছে সবই মিথ্যা। এমবাপ্পে কখনওই নেইমারকে বাদ দেওয়ার কথা বলেননি। আর নেইমারকেও তাঁরা বেচতে চাননি। এসব সংবাদ বানোয়াট ছিল।
সে সময় পিএসজির মালিক খেলাইফি থেকে শুরু করে সবাই মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। এখন যখন নেইমার ফর্মে, নিয়মিত গোল করছেন, দল জেতাচ্ছেন, তখন পিএসজির স্পোর্টিং ডিরেক্টর ক্যাম্পোস বললেন, যা চাউর হয়েছে সবই মিথ্যা। এমবাপ্পে কখনওই নেইমারকে বাদ দেওয়ার কথা বলেননি। আর নেইমারকেও তাঁরা বেচতে চাননি। এসব সংবাদ বানোয়াট ছিল।
অথচ খেলাইফিকে এক সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞেস করা হয়, নেইমারকে কি আপনারা বেচে দিতে চাইছেন। তিনি একটু ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে উত্তর দিলেন, ‘যে কাউকে বেচতে পারি। এটা এখানে বলা মুশকিল।’ বুঝাই যাচ্ছে, তাঁর মনে তখন কী ছিল। কিন্তু যখনই নেইমার ফর্মে ফিরলেন, হুট করেই বলে দিলেন তিনিই তাঁদের সোনার ডিম পাড়া হাঁস!
গত শুক্রবার আরএমসি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিএসজির স্পোর্টিং ডিরেক্টর বলেন, ‘নেইমারকে বিক্রির পরিকল্পনা পিএসজির ছিল না। নেইমার খুব ভালো খেলোয়াড়, সে নিয়মিত অনুশীলন করে। কখনও অনুশীলন মিস করে না। সে দল এবং ক্লাবের পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত।’
মনে হচ্ছে, স্ট্ক্রিপ্ট মুখস্ত করেই সাক্ষাৎকারে এমন জবাব দেন ক্যাম্পোস। এরপর এমবাপ্পে কি চেয়েছিলেন নেইমারকে ভাগিয়ে দিতে- এমন প্রশ্নের উত্তরে এই কর্তা বলেন, ‘না এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তাঁরা তিনজনই আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ। মেসি গতবার নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন, কিলিয়ান দুর্দান্ত করেছিলেন, নেইমার ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করেন। তাঁরা আমাদের দলের পরিকল্পনায় আছেন ভালোভাবে।’
থাকবেনই না কেন? তিনজনই এবার দারুণ খেলছেন। তাঁদের ওপর ভর করেই তো চলছে ফরাসি ক্লাবটি। যেখানে চলমান মৌসুমে এরই মধ্যে ১০ ম্যাচে ১১ গোল করে ফেলেছেন নেইমার। সঙ্গে রয়েছে সাতটি অ্যাসিস্টও।