" />
বাঙালি পটলকে সবজি হিসাবে পছন্দ করে। প্রত্যেক সবজিরই আলাদা গুণাগুণ রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পটল ভিটামিন ও খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা থেকে ওজন কমানো, হরেক রকমের গুণ রয়েছে এতে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে পটল
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে পটলে। ফাইবার পাচনতন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে ও মল নির্গমনে সহায়তা করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে
পটলে যে ফাইবার পাওয়া যায়, তা পাচিত হতে অনেক সময় লাগায় দীর্ঘক্ষণ খিদে পায় না। আবার ১শ’ গ্রাম পটলে মাত্র ২০ ক্যালোরি থাকে। যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তাদের জন্য পটল একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।
কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে পটল
রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল কমাতে ও ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে পটল। ফলে হৃদ্যন্ত্র ভালো থাকায় স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
বেশ ভালো পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায় পটল থেকে। এটি একদিকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং অন্য দিকে জারণ প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট বিভিন্ন ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেলের ক্রিয়া থেকে দেহকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে। লিভারের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্যও পটল বেশ উপকারী।
ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে
ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য পটল ও পটলের বীজ বেশ উপযোগী। পটলে ফ্ল্যাভিনয়েড জাতীয় উপাদান থাকে, থাকে কপার, পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম। এই উপাদানগুলো রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে অনেক কার্যকর।