" />
বাজারে সব জিনিসের দlম বেশি। আবার নানা কারণেই খরচ বাড়তে থাকে। আবার অনেকের আয়ের থেকে ব্যয় বেশি হয়। আর তখনই সংসারে উন্নতি করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই সহজ কিছু উপায়ে সংসারের খরচ কমিয়ে অর্থ সঞ্চয় করুন।
সংসারর খরচ কমানোর সাতটি দারুণ উপায় জেনে নেয়া যাক –
ইলেক্ট্রিসিটি ব্যবহারে সচেতন না হওয়ায় মাস শেষে বড় সড় একটি বিল চলে আসে। তাই যেসব ডিভাইস ব্যবহার করেন সেগুলো ব্যবহার করার পরে বন্ধ করে দিন। এসি রাতে স্লিপ মোডে দিয়ে ২ থেকে ৩ ঘন্টা টাইমারে দিয়ে দিন। এসি কেনার সময় ইনভার্টার এসি কেনার চেষ্টা করুনএসি ব্যবহার করলে এসির তাপমাত্রা ২৫ এর নিচে দেবেন না। ২৫ এ দিয়ে হালকা করে সিলিং ফ্যান চালু করে দিন। এতে আপনার বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। মনে রাখবেন এসি চালু হওয়ার সময় অনেক বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। তাই বার বার অন অফ করবেন না। আপনার রুমের পরিমাপ অনুযায়ী এসি কিনুনবাসায় এলইডি বাল্ব ব্যবহার করুন। তাতে আপনার বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে ৫০% পর্যন্ত। রাতে ঘুমানোর আগে বাথরুমের লাইট বন্ধ করেছেন কিনা দেখে নিন।
বাসায় থাকা অপ্রয়োজনীয় বস্তু বিক্রি করে দিন। প্রতি মাসে কেনা তেলের বোতল, বস্তা, খবরের কাগজ এগুলো একেবারেই অপ্রয়োজনীয়, তাই এগুলো বিক্রি করে দিতে পারেন।
অনেকেই ক্রেডিট কার্ডে বা মোবাইল ব্যাংকিং এ কেনাকাটা করেন। যা অতিরিক্ত খরচের একটি অন্যতম কারণ। কার্ডে কেনাকাটা শুরু করলে খরচের প্রবাহ কমানো খুব মুশকিল। তাই কার্ডে কেনাকাটা না করে নগদে কেনাকাটা করাই ভালো।
অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কাট করুন। জিমে নিয়মিত না গেলে সদস্যপদ বাতিল করা যেতে পারে। মোবাইল ইন্টারনেট প্যাক ব্যবহার করলে বাসায় ব্রডব্র্যান্ড এর খচর কমাতে পারেন। মোবাইলের ডাটা সব সময় সচল না রেখে কাজ শেষে অফ করে রাখুন। তাতে আপনার ইন্টারনেটের খচর ও কমবে।
বাইরে খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করুন। এটা যেমন আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ তেমন আপনার পকেটের জন্যও খারাপ। বাসায় তৈরি করা খাবার খান। অফিসেও বাসায় তৈরি করা খাবার নিতে পারেন। এতে আপনার খরচ অনেকটাই কমে আসবে।
কেনাকাটার ভাউচার সংরক্ষণ করুন। মাস শেষে ভাউচার দেখে আপনার আয় ব্যয় সম্পর্কে ভালো ধারনা লাভ করতে পারেন। এটা দিয়ে কোথায় আপনার খচর বেশি হচ্ছে বা কোথায় আপনার খচর কমানো দরকার সেটা সম্পর্কে ধারনা পাবেন।
মাসের মাছের ও মশলার বাজার পাইকারি দোকান থেকে একবারে কেনার চেষ্টা করুন। তাতে যেমন ফ্রেশ পাবেন, দামেও পাবেন ছাড়।