ছাত্রদল নেতাকর্মীরা জানান, মঙ্গলবার উত্তরা পশ্চিম থানার কামারপাড়া ব্রিজ এলাকায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির পশ্চিম জোনের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশ শেষে ফেরার পথে ছাত্রদলের এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময়ে উত্তরা পশ্চিম থানা ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান রুবেলকে একই ইউনিটের আরেক ছাত্রনেতা রিয়াদ সরকার হিরা এবং মো. শোয়েবের নেতৃত্বে লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করে। এতে রুবেল মারাত্মক আহত হয়। পরে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত দুই ছাত্রদল নেতাকে বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
মেহেদী হাসান রুবেল জানান, সমাবেশ শেষ হওয়ার আগেই হিরার নেতৃত্বে একটি অংশ তাদেরকে শাসিয়ে যায়। এরপর তারা বাড়ি ফেরার পথে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে।
ঘটনার সময়ে উপস্থিত তুরাগ থানা বিএনপির নেতা রিপন হাসান জানান, সমাবেশ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ছাত্রদল নেতা হিরার নেতৃত্বে রুবেলের হামলার ঘটনা ঘটে। বাঁশের লাঠি দিয়ে রুবেলকে মারধোর করা হয়। এ সময়ে তিনি তাদের দুই অংশকেই নিবৃত করার চেষ্টা করেন। ওই হামলায় রুবেল ছাড়াও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক নেতা ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন তালুকদার মাহীসহ আরও অনেকে আহত হন।
তবে এসব হামলার বিষয়ে অস্বীকার করে রিয়াদ সরকার হিরা দাবি করেন, তিনি কোনোভাবেই এ হামলার ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। মহানগর বিএনপির একজন নেতার রোষানলের কারণে এর আগেও তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছিল। তার জানামতে- এই হামলার পিছনে তুরাগ থানা ছাত্রদলের নেতা জোনায়েদ হোসেন রিপন জড়িত।
আবার জোনায়েদ হোসেন রিপল জানান, তিনি এ হামলার ঘটনা সম্পর্কে একেবারে কিছুই জানেন না। সমাবেশ শেষে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তাও তিনি জানেন না।