রোববার রাজধানীর দক্ষিণ বেগুনবাড়ি এলাকায় টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।বর্তমানে ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের এক কোটি পরিবারের মাঝে প্রতি মাসে একবার করে ভর্তুকি মূল্যে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি করা হয়। ভবিষ্যতে মাসে দুই বার পণ্য বিক্রি করা যায় কি-না তা খতিয়ে দেখছে সরকার।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) এ কে এম আলী আহাদ খান, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নং ওয়ার্ডের কমিশনার সফিউল্লাহ (সফি) প্রমুখ।
বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘টিসিবির মাধ্যমে প্রায় ৫ কোটি মানুষ উপকৃত হচ্ছে। তাদেরকে প্রতি মাসেই পণ্য দেওয়া হবে। বর্তমানে মাসে একবার করে পণ্য দিতে বছরে প্রায় ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা ভর্তুকি প্রয়োজন হয়। সবদিক চিন্তা করেও টিসিবির সক্ষমতা বিবেচনা নিয়ে ভবিষ্যতে মাসে ২ বার পণ্য দেওয়া যায় কি-না মন্ত্রাণলয় ক্ষতিয়ে দেখবে।’
টিসিবি জানিয়েছে, আজ থেকে তৃতীয় দফায় এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীরা টিসিবির ডিলার পয়েন্ট থেকে পণ্য কিনতে পারবেন। প্রতিটি কার্ডধারী পরিবার মাসে একবার ২ লিটার তেল, ২ কেজি মসুর ডাল, ১ কেজি চিনি কিনতে পারবেন। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের মূল্য ১১০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬৫ এবং চিনি ৫৫ টাকা দরে কেনা যাবে।
ঢাকার প্রায় ৩০০ ডিলার এবং দেশব্যাপী প্রায় সাড়ে তিন হাজার ডিলারের মাধ্যমে মাসব্যাপী বিক্রয় কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।আর পেঁয়াজ দেশের বাইরে থেকে আসা সাপেক্ষে মহানগরীতে বিক্রি করা হবে।