রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ড. হাছান মাহমুদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর সফল ও ফলপ্রসূ হওয়ায় বিএনপির মন খারাপ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সফল হওয়ায় বিএনপি ও মির্জা ফখরুল সাহেবদের মন খারাপ। কেন এত ভালো সফর হলো। ওনাদের কাজ তো বিভ্রান্তি ছড়ানো। ফখরুল সাহেব বিভ্রান্তি ছড়ানোতেই ব্যস্ত আছেন। মন খারাপের কারণে ওনারা এখন আবোল-তাবোল বলছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সফল ও অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভারতের স্থলভাগ ব্যবহার করে অন্য তৃতীয় দেশে বিনাশুল্কে পণ্য রপ্তানি করা। বহুদিন ধরে আলাপ আলোচনার পর এটি এই সফরে বাস্তবায়ন হয়েছে। এতে করে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে নেপাল-ভুটান তাদের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করতে পারবে। এটি একটি বড় অর্জন।
আওয়ামী লীগের হাত ধরেই ভারতের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি আদায় হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, সমুদ্রসীমা ও ছিটমহল আমাদের প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই মীমাংসা হয়েছে।
তিস্তা চুক্তির বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, তিস্তা চুক্তি না হওয়ার পেছনে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে নয় বাধাটা সংবিধান অনুযায়ী রাজ্য সরকারের কারণে। রাজ্যের বাধা থাকায় চুক্তিটি হয়নি। আমরা আশা করছি অচিরেই তিস্তা চুক্তি হবে।
বিএনপির সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতে গিয়ে তো বেগম খালেদা জিয়া গঙ্গার পানি চুক্তির কথা ভুলেই গিয়েছিলেন। এটা তিনি নিজেই বলেছেন। যে দলের নেত্রী ভারতে গিয়ে পানি চুক্তির কথা ভুলে যায় ওরা আবার এগুলো নিয়ে কথা বলে কোন মুখে।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নেওয়ায় জাতীয় প্রেস ক্লাবকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ১৯৮৭ সালে প্রধানমন্ত্রী দেশে আসার সঙ্গে সঙ্গে কৃষক লীগকে দিয়ে সারাদেশে গাছ লাগিয়েছিলেন। দেশে এখন ছাদবাগান হচ্ছে। যা সারাদেশে গাছ লাগানোকে উৎসাহিত করছে।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাবেক সভাপতি সাইফুল আলমসহ প্রেস ক্লাবের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।