সম্ভবত চলতি বছরের সবচেয়ে বড় ছবি হতে যাচ্ছে দীপংকর দীপনের ‘অপারেশন সুন্দরবন’। ২৩ সেপ্টেম্বর ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে। তার আগেই শুরু হলো ছবিটি নিয়ে শোরগোল। বিষয়টিকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন ‘ঢাকা অ্যাটাক’ দিয়ে ঢাকাই দর্শকদের দৃষ্টি ফেরানো এই নির্মাতা। টানা পাঁচ বছর পর নতুন ছবি নিয়ে হাজির হচ্ছেন দীপন। পুলিশি অ্যাকশন দিয়ে দর্শক মাতানো শেষে এবার তিনি হাজির হচ্ছেন র্যাব অভিযান নিয়ে! সঙ্গে বাড়তি চমক হিসেবে থাকছে পৃথিবীর সবচেয়ে সমৃদ্ধ ম্যানগ্রোভ বন- সুন্দরবন।ছবিটি মুক্তির আগে দারুণ ব্যস্ত সময় পার করছেন দীপন ও তার টিম। ট্রেলার, পোস্টার, গান আর নানা ধারাবাহিক প্রচারণার চমক থাকছে নিয়মিত। এসব ছাপিয়ে ‘অপারেশন সুন্দরবন’-কর্তা প্রাণখুলে কথা বলেছেন ছবিটির পাঁচটি বিশেষ প্রসঙ্গে-
মুক্তির আগে
ফলাফলের চাপ
ডকুমেন্টরি বিতর্ক
একেবারেই নয়, ‘অপারেশন সুন্দরবন’ পুরোপুরি মূল ধারার সিনেমা। এখানে অ্যাকশন, সাসপেন্স, আবেগ, প্রেম, গান- সব আছে। তবে সেটা অথেনটিক ভাবে এসেছে, সিনেমাটিক স্টাইলাইজেশন দিয়ে। গণ মানুষকে কানেক্ট করার সিনেমা এটি। সেই সাথে ক্লাস পিপল যেন পছন্দ করে সেই চেষ্টাও ছিলো। ‘ঢাকা অ্যাটাক’-এ যেটা ছিল। সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হবার গল্প নিয়ে নয়, ‘অপারেশন সুন্দরবন’ তৈরি হয়েছে সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হওয়াকে উদযাপন করতে। এটি কোনও ডকুমেন্টরি নয়, এটি সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক সিনেমা; যেখান ড্রামা-সাসপেন্স-নারী পুরুষের সম্পর্ক, প্রেম-ভালবাসা সব কিছু আছে।
গল্পের চ্যালেঞ্জ
ওই যে বললাম এটা ডকুমেন্টরি নয়, মূলধারার বাণিজ্যিক সিনেমা। আমরা তাই চেয়েছি পুরো প্রজেক্টটায়। এই ছবিটি সুন্দরবন জলদস্যুমুক্ত হওয়া উপলক্ষে বানানো সিনেমা। আমরা চেয়েছি ছবিটি জনপ্রিয় ধারার সিনেমা হিসাবে আলোচিত হোক। মানুষের ভালবাসার জয় করুক। তাহলেই সুন্দরবন মুক্ত করার বড় পথ পরিক্রমাটা সবাই জানবে। ঘটনাটির সাথে ইমোশনাল কানেকশন তৈরি হবে। সেই সাথে সুন্দরবন নিয়ে মানুষের আগ্রহ বাড়বে। সেটা করতে গল্পে যৌক্তিক ও কাল্পনিক উপাদান যুক্ত হয়েছে। চরিত্রদের ব্যক্তি জীবনের আবেগে জোর দেয়া হয়েছে। আর সেটা করা হয়েছে গল্পের গাঁথুনি নষ্ট না করে। চ্যালেঞ্জটা ছিল ওখানেই।
সুন্দরবনের সৌন্দর্য
এখানে আমি একটু অন্ধ। বুঝিয়ে বলি, আমি নিজেও সুন্দরবনের প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া মানুষ। ভালবাসলে তো মানুষ কিছুটা অন্ধ হয়ে যায়। সুন্দরবনে গেলে আমার বাঘের প্রতিও মায়া হয়, হরিণের প্রতিও মায়া হয়- আবার হরিণ যে কেওড়া গাছের নিচের পাতাগুলো খায় সেগুলোর জন্যও মায়া হয়। সুন্দরবনে যতবার যাই ততো নতুন নতুন রূপ দেখি। আমি যা দেখেছি তার সব তুলে আনা সম্ভব, তাও নয়। কিন্তু যা তুলে আনতে পেরেছি সেটা অনেকে দেখেনি। এটা তো নেটজিও ডকু নয়, তবে গল্পের হাত ধরে সুন্দরবনের ভরপুর সৌন্দর্য অনেক আছে। অন্যদিকে দেখানোর আরও অনেক কিছু আছে। সেগুলোর জন্য একটা ডকুমেন্টরি করবো, যদি ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সফল হয়। প্রসঙ্গত, র্যাব কো অপারেটিভ সোসাইটি প্রযোজিত ‘অপারেশন সুন্দরবন’-এ অভিনয় করেছেন রিয়াজ, সিয়াম, নুসরাত ফারিয়া, রোশান, দর্শণা, মনোজ প্রামাণিক, রাইসুল ইসলাম আসাদসহ আরও অনেকে।