দুঃসময় পিছু ছাড়ছিল না। তবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তাতেও যখন কাজ হচ্ছিল না, অ্যারন ফিঞ্চ বুঝে গেলেন আর হবে না ওয়ানডে ক্রিকেট। ফলে দলের বোঝা হয়ে থাকতে চাইলেন না এই ওপেনার। শুধু নেতৃত্ব নয়, ওয়ানডে ক্রিকেটকেই বিদায় বলে দিয়েছেন ফিঞ্চ। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কে হচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার নতুন অধিনায়ক?

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ চলছে অস্ট্রেলিয়ার। আগামীকাল (রবিবার) সিরিজের শেষ ম্যাচ। কিউইদের বিপক্ষে এই ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতি টানবেন ফিঞ্চ। যদিও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ও নেতৃত্ব চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ডানহাতি ওপেনার। ৫ হাজার ৪০০ রানের বেশি নিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেট ছাড়লেন তিনি, যাতে আছে ১৭ সেঞ্চুরি। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার হিসেবে রিকি পন্টিং (২৯), ডেভিড ওয়ার্নার (১৮) ও মার্ক ওয়াহর (১৮) পরই তার সেঞ্চুরি সংখ্যা।এ বছর ১৩ ম্যাচে করেছেন মোটে ১৬৯ রান। যেখানে সবশেষ ১২ ইনিংসের পাঁচটিতেই ‘ডাক’ মেরেছেন ফিঞ্চ। চলমান নিউজিল্যান্ড সিরিজেও অবস্থার পরিবর্তন না করাতে পেরে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।ফিঞ্চের ঘোষণার পর প্রশ্ন উঠেছে, ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক কে হচ্ছেন? ২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তার আগে অধিনায়ক খুঁজতে শুরু করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। অনেকেই আছেন দৌড়ে। তবে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। ফিঞ্চও এই দুজনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। অতীত ইতিহাস ও নেতৃত্বের অভিজ্ঞতায় স্মিথ অনেকটাই এগিয়ে আছেন ওয়ার্নার থেকে।তাদের বাইরে উঠে আসতে পারে টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের নাম। কিন্তু ডানহাতি পেসার টেস্ট নেতৃত্ব পাওয়ার পরই জানিয়েছিলেন, সাদা বলের ক্রিকেটের অধিনায়কত্বে তার আগ্রহ নেই। তাছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেট নিয়মিত খেলছেনও না তিনি। ২০১৮ সাল থেকে ৬৫ ওয়ানডের ২৮টি মিস করেছেন এই পেসার। আলোচনায় থাকতে পারেন অ্যালেক্স ক্যারি। এই উইকেটকিপার ফিঞ্চের ডেপুটি হিসেবে কাজ করেছেন, তার অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন। কিন্তু সমস্যা হলো ক্যারি অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি দলে বিবেচিত হন না। যে কারণে তাকে ওয়ানডে অধিনায়ক করলে অজিদের তিন ফরম্যাটে থাকবে তিন অধিনায়ক। সে পথে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার না হাঁটারই কথা। তাছাড়া মিচেল মার্শ ও অ্যাডাম জাম্পাও হতে পারেন ওয়ানডে অধিনায়ক হওয়ার তালিকায়।তবে অভিজ্ঞতা বিবেচনায় স্মিথই সবার আগে। ২০১৮ সালে বল টেম্পারিংয়ে নেতৃত্ব হারানোর পর ফিরে টেস্ট দিয়ে আবারও অধিনায়কত্ব করেছেন। ফলে কেপ টাউনের ওই ঘটনা অতীত হয়ে গেছে বলে মনে করেন ফিঞ্চ। বিদায়ি অধিনায়ক স্মিথকে তার যোগ্য উত্তরসূরি মনে করেন, ‘আমার হয় না (কেপ টাউনের বল টেম্পারিং এখন কোনও ইস্যু)। প্যাট কামিন্সের কোভিড হলে অ্যাডিলেডে সে (স্মিথ) টেস্ট ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছে। তাই আমার মনে হয় সবকিছু সাজানোই আছে।’
ফিঞ্চ একই সঙ্গে ওয়ার্নারকেও রাখছেন তালিকায়। যদিও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এই ওপেনারকে নেতৃত্ব থেকে আজীবন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। অবশ্য ওই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
দেখা যাক, ওয়ার্নার বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। নতুন ওয়ানডে অধিনায়কের বিষয়েও বা কী সিদ্ধান্ত আসে!