এ পরিস্থিতিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২৯ ছিনতাইকারীকে আটক করেছে র্যাব।রাজধানীতে আবারও ছিনতাই বেড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকায় লোকজন ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে মূল্যবান সামগ্রী হারাচ্ছেন।
সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তুলনামূলক জনশূন্য রাস্তা, লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড ও রেলস্টেশন এলাকায় ছিনতাইকারীদের অপতৎপরতা বেশি থাকে। টাকা, ফোন ও গহনা খোয়ানোর পাশাপাশি তাদের ছুরি-গুলিতে আহত হচ্ছেন অনেকে। বাধা পেলে খুন করতেও দ্বিধা করে না ছিনতাইকারীরা। এ ক্ষেত্রে বড় ঘটনাগুলো নজরে এলেও ছোটখাটো অনেক ঘটনা থেকে যায় আড়ালেই। কারণ ভুক্তভোগীদের বেশিরভাগই ‘ঝামেলা’ এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারস্থ হন না। ফলে এই দুর্বৃত্তরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।র্যাব-৩-এর স্টাফ অফিসার (গণমাধ্যম) সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক জানান, বৃহস্পতিবার রাতে কমলাপুর এলাকায় এক নারীর গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ছিনতাই করে পালানোর সময় ধাওয়া করে একজনকে আটক করে র্যাব। পাশাপাশি শাহজাহানপুর, মতিঝিল, মুগদা, পল্টন, হাতিরঝিল ও তেজগাঁও এলাকায় পৃথক অভিযান চালানো হয়। এতে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী ও অজ্ঞান পার্টির আরও ২৮ সদস্য ধরা পড়ে। অভিযানে তাদের কাছ থেকে ১৮টি মোবাইল ফোন, সাতটি সুইচ গিয়ার চাকু, অ্যান্টিকাটার, ব্লেড, একটি কাঁচি, চাকু, ক্ষুর, বিষাক্ত মলমের কৌটা ও স্বর্ণের চেইন জব্দ করা হয়।গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, রাজধানীর বাসস্ট্যান্ড ও রেলস্টেশন এলাকায় তারা ঘোরাফেরা করে। এরপর যাত্রীদের টার্গেট করে কখনও দেশি অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা ও ফোন কেড়ে নেয়। আবার কখনও কৌশলে চেতনানাশক ওষুধ মেশানো খাবার খাইয়ে অচেতন করে। তারপর সব কেড়ে নিয়ে ভিড়ের মধ্যে মিশে যায়। এ ছাড়া ভিড়ের মধ্যে যাত্রীদের চোখে-মুখে বিষাক্ত মলম বা মরিচের গুঁড়া স্প্রে করে মূল্যবান সামগ্রী কেড়ে নেয়।