" />
রানির মৃত্যুর পর ব্রিটেনের রাজা হয়েছেন তার ছেলে চার্লস ফিলিপ আর্থার জর্জ। তবে অনেকের মনে প্রশ্ন রানির বিখ্যাত কোহিনুরের মুকুট নিয়ে? মুকুট উঠবে কার মাথায়? কে পাবেন কোহিনূরের অধিকার?ব্রিটেনের দীর্ঘতম শাসক রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ৯৬ বছর বয়সে মারা গেছেন। দীর্ঘ ৭০ বছর রাজ সিংহাসন ছিল তার দখলে। রাজ মুকুট শোভা বাড়িয়েছিল তার মাথায়।
চলতি বছরের শুরুতেই রানি এলিজাবেথ ঘোষণা করেছিলেন, তার অবর্তমানে ‘কুইন কনসর্ট’ হবেন প্রিন্স চার্লসের স্ত্রী, ডাচেস অব কর্নওয়াল ক্যামিলা। তাই স্বাভাবিকভাবেই চার্লস যখন রাজা হবে, তখনই ক্যামিলার মাথায় উঠবে সেই কোহিনূর বসানো মুকুট, যা আসলে ছিল রানি এলিজাবেথের মায়ের।
১০৫ দশমিক ৬ ক্যারেটের কোহিনূর হীরার জন্মস্থান ভারত। চতুর্দশ শতাব্দীতে ভারতেই মিলেছিল এ হীরা। তার পর বহুবার হাতবদল হয়। ১৮৪৯ সালে পাঞ্জাব অধিকার করে ব্রিটিশরা। তখনই কোহিনূর হস্তান্তরিত হয় রানি ভিক্টোরিয়ার কাছে। সেই থেকে ব্রিটেনের শাসকদের মাথায় শোভা পেতে থাকে এ হীরা।
এখন প্লাটিনামের মুকুটে বসানো রয়েছে কোহিনূর। ১৯৩৭ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বাবা ষষ্ঠ জর্জের অভিষেকের সময় তৈরি করা হয়েছিল সেই মুকুট। পরেছিলেন দ্বিতীয় এলিজাবেথের মা প্রথম এলিজাবেথ। টাওয়ার অব লন্ডনে রাখা থাকে সেই মুকুট। চার্লসের অভিষেকের দিন তা মাথায় উঠবে ক্যামিলার।
বর্তমানে রাজ পরিবারের অংশ হলেও কোহিনুরের মালিকানা নিয়ে আশির দশকেও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। ইরান, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, এমনকি বাংলাদেশ পর্যন্ত এর সত্ত্ব দাবি করেছিল। কারণ, তখন ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ছিল একটি দেশ। তাছাড়া বাকি দেশগুলোতে পর্যায় ক্রমে কিছু সময় ছিল এই মহা মূল্যবান হীরা। যদিও ব্রিটিশ সরকার সব দাবিই প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এসব দাবি অযৌক্তিক বলে আখ্যায়িত করেছে।
এই হীরার মূল্য আজও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। তাই একে অমূল্য হীরা বলা হয়।