সোমবার বিকালে খুলনায় বাংলালিংক আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, কল ড্রপের ভর্তুকি হিসেবে টাকা ফেরত পাবেন গ্রাহক। প্রথম ও দ্বিতীয় কল ড্রপে ৩০ সেকেন্ড এবং তৃতীয় থেকে সপ্তমবার কল ড্রপে ৪০ সেকেন্ডের টাকা ফেরত পাবেন গ্রাহকরা।
বিটিআরসি সব সময় জনগণের পক্ষে ও স্বার্থে কাজ করে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার। তিনি বলেন, ইন্টারনেট প্যাকেজে ‘এক দেশ-এক রেট’ যে সেবা চালু করা হয়েছে তাও জনগণের জন্য। তাদের স্বার্থের দিক বিবেচনা করে নতুন নির্দেশনা নিয়ে আসছে বিটিআরসি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আনুষ্ঠানিকভাবে খুলনা থেকে এ নতুন স্পেকট্রামের ব্যবহার শুরু হয়েছে। গত মার্চে অনুষ্ঠিত বিটিআরসির সর্বশেষ স্পেকট্রাম নিলাম থেকে নতুন স্পেকট্রাম গ্রহণ করা হয়। প্রেস কনফারেন্সে বাংলালিংকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এরিক অস এ ঘোষণা দেন।
অনুষ্ঠানে বাংলালিংকের কর্মকর্তারা জানান, নতুন স্পেকট্রামের ফলে বাংলালিংক গ্রাহকরা দ্রুততর ইন্টারনেট এবং আরও উন্নত ডিজিটাল সেবা পাবেন। টাইম ডিভিশন ডুপ্লেক্স (টিডিটি) প্রযুক্তির মাধ্যমে এ স্পেকট্রাম ব্যবহার করা হয়েছে।
বাংলালিংক গত আট মাসে দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে ৩ হাজার নতুন বেইজ ট্রান্সসিভার স্টেশনও (বিটিএস) স্থাপন করেছে। চলতি বছর বিটিআরসির কাছ থেকে ৪০ মেগাহার্জ স্পেকট্রাম গ্রহণ করেছে। ফলে বাংলালিংকের স্পেকট্রামের পরিমাণ ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৮০ মেগাহার্জে উন্নীত হয়। গ্রাহক প্রতি স্পেকট্রামের হিসেবে বর্তমানে দেশের শীর্ষ বেসরকারি অপারেটর বাংলালিংক।
এছাড়া ধারাবাহিক প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে বাংলালিংক ২০২২-এর দ্বিতীয় প্রান্তিকে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছে। সম্প্রতি টানা তিন বছর দেশের দ্রুততম মোবাইল নেটওয়ার্ক হিসেবে ওকলার স্বীকৃতিও পেয়েছে বাংলালিংক।
অনুষ্ঠানে বিটিআরসির চেয়ারম্যান আরও বলেন, বাংলালিংক যেভাবে দেশব্যাপী সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দিয়েছে তা দেখে আমি আনন্দিত। এ ধরনের উদ্যোগ ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমি আশা করি, বাংলালিংক ভবিষ্যতেও খুলনার মতো অন্যান্য অঞ্চলগুলোর ওপর লক্ষ্য রাখবে।
বাংলালিংকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এরিক অস বলেন, খুলনায় নতুন স্পেকট্রাম দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ফোরজি চালুর উদ্যোগ এ অঞ্চলের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির একটি প্রতিফলন।
প্রেস কনফারেন্স শেষে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বাংলালিংকের ভ্রাম্যমাণ এক্সপেরিয়েন্স জোন উদ্বোধন এবং কাস্টমার কেয়ার সেন্টার পরিদর্শন করেন। এছাড়া তিনি বাংলালিংকের দ্রুততম মোবাইল ইন্টারনেট ও ডিজিটাল সার্ভিস টফি, হেলথ হাব ও অ্যাপলিংক ব্যবহার করে দেখেন।
প্রেস কনফারেন্সে আরও উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস ডিভিশনের কমিশনার ইঞ্জিনিয়ার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, বাংলালিংকের চিফ টেকনোলজি অ্যান্ড ইনফরমেশন অফিসার হুসেইন তুরকার, বাংলালিংকের ক্লাস্টার ডিরেক্টর এফ এম শাহরিয়ার ওমর প্রিন্স এবং প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।