" />
গত মে মাসে কান চলচ্চিত্র উৎসবের মার্শে দ্যু ফিল্মে ‘দিন দ্য ডে’ ও ‘নেত্রী দ্য লিডার’ ছবি দুটির ট্রেলার নিয়ে গিয়েছিলাম। তখন কান শহরে বাংলাদেশের টেলিভিশন ও পত্রিকার স্বনামধন্য কয়েকজন সাংবাদিক ছিলেন। বিদেশের মাটিতে একই শহরে এত সংবাদকর্মী সমবেত হয়েছেন, তাই তাদের সাথে দেখা করার সুযোগটা মিস করতে চাইনি। সত্যি বলতে সাংবাদিকদের সঙ্গে থাকতেই আমার বেশি ভালো লাগে। অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও তারা সময় বের করে আমার নিমন্ত্রণে এসেছেন, এজন্য তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তারা এসে আমার আর বর্ষার সাক্ষাৎকার নিতেই বেশি ব্যস্ত ছিলেন। প্রচন্ড রোদে বিভিন্ন ইভেন্ট কাভার করার ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে ক্লান্তি দেখিনি।
পরদিন মার্শে দ্যু ফিল্মের আফ্রিকা প্যাভিলিয়নে ‘দিন দ্য ডে’ ও ‘নেত্রী দ্য লিডার’ ছবি দুটির ট্রেলার প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা সবাই গিয়েছিলেন। সেখানেও তাদের সবাইকে ভিডিও ধারণ, বাইট নেওয়া কিংবা তথ্য নোট করায় ব্যস্ত থাকতে দেখেছি। সেগুলো ঢাকায় পাঠানোর জন্য উৎসবের মূল ভবনে যাওয়ার তাড়া থেকে আফ্রিকা প্যাভিলিয়নের অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশের সংবাদকর্মীরা একগ্লাস পানিও কিন্তু খেয়ে যাননি।
কানে বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে আমার ক্যাজুয়াল আড্ডা দেওয়ার বিষয়টি সেদিন ‘কিল হিম’ ছবির মহরতে উল্লেখ করেছিলাম। কিন্তু এরপর থেকে আমার বলা ঘটনাটি নিয়ে একশ্রেণির হলুদ সাংবাদিক হীনমন্যতার পরিচয় দিচ্ছে। শুনেছি, আমার বক্তব্যের রেশ ধরে কানে যাওয়া স্বনামধন্য সাংবাদিকদের ট্রল করা হচ্ছে। এটা খুবই অন্যায়। আমি আবারও বলছি, কান শহরে যাওয়া সাংবাদিকরা আমার নিমন্ত্রণ পেয়ে এসেছিলেন। বাংলাদেশেও আমার নিমন্ত্রণে মহরতসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অনেক সাংবাদিক আসেন। এসব আয়োজনেও আমরা খাওয়া-দাওয়া করি। সুতরাং কানের ওই ঘটনা নিয়ে যারা ন্যাক্কারজনকভাবে ঘাঁটাঘাঁটি করছেন, তারা সাধারণ একটি বিষয়কে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
‘কিল হিম’ ছবির মহরতে দেওয়া আমার বক্তব্যে কান উৎসব কাভার করে আসা প্রিয় সংবাদকর্মীরা যদি আঘাত পেয়ে থাকেন সেজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি মন থেকে বলছি, আপনাদের মোটেও ছোট করার বিন্দুমাত্র উদ্দেশ্য আমার ছিলো না। আপনারা নিজ নিজ উদ্যোগে কান উৎসবে গিয়েছেন, এটা আপনাদের অনেক বড় অর্জন। আমি বিশ্বাস করি, আপনাদের নিজ নিজ যোগ্যতা না থাকলে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত কান চলচ্চিত্র উৎসবের মতো এমন আয়োজনে আপনারা যেতে পারতেন না। আপনাদের লেখালেখির সুবাদে আন্তর্জাতিক সিনেমার চিত্রটা আমরা জানতে পেরেছি। কানে আপনাদের দেখা পেয়ে আমি বরং আনন্দিত হয়েছি। অন্তত কিছুটা সময় বাংলা ভাষায় কথা বলতে পেরেছি।
অনুরোধ নয়, হলুদ সাংবাদিকদের সবাইকে সতর্ক করে বলছি, এ বিষয়টি নিয়ে আর ঘাঁটাঘাঁটি করবেন না। আমি এ ঘটনায় সত্যি বিব্রত। সাংবাদিকরা আমার সবসময় পছন্দের কাতারে ছিলেন, আছেন, থাকবেন।
(অনন্ত জলিলের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া)