বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, ক্ষমতা হস্তান্তরটি খুব যত্ন সহকারে করা হয়েছে।যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন লিজ ট্রাস। মঙ্গলবার স্কটল্যান্ডের বালমোরালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে
এক বিবৃতিতে বাকিংহাম প্যালেস জানায়, বরিস জনসন তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং রানি তা গ্রহণ করেছেন সদয়ভাবে।
রানির অসুস্থতার কারণে এই বৈঠকগুলো হয়েছে লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসের পরিবর্তে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসেলে।
লিজ ট্রাস ও জনসন দুইজন আলাদা আলাদাভাবে বালমোরালে যান। সেখানে যাওয়ার আগে জনসন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে বিদায়ী ভাষণ দেন।
সাক্ষাৎ শেষে দায়িত্ব বুঝে নেন কনজারভেটিভ পার্টির এ নেতা। এর আগে রানির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
সেই ভাষণে তিনি তুলে ধরেন ব্রেক্সিট, কোভিড টিকাসহ তার সরকারের নানা সফলতা ও ইউক্রেন প্রসঙ্গও। তার বক্তব্যের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন এমপি, সহযোগীরা ও স্ত্রী ক্যারি।
বক্তব্যে জনসন জানান, কীভাবে ব্রেক্সিট সফল করেছেন এবং দ্রুততম সময়ে বৃটিশ নাগরিকদের কাছে কোভিড টিকা পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিজ সরকারের সাফল্য তুলে ধরেন।
রাশিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জ্বালানি সংকট দিয়ে যুক্তরাজ্যের জনগণকে ব্ল্যাকমেইল করতে পারবেন না। নতুন কনজারভেটিভ সরকার এই সংকট কাটিয়ে উঠবে।
এ ছাড়া নতুন সরকারের প্রতি সমর্থন থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সব সমস্যা উৎরে যাব এবং সব দিক থেকে শক্তিশালী হয়ে উঠব। এ কাজের জন্য লিজ ট্রাসকে সমর্থন দেওয়ার সময় এখনই।
লিজ ট্রাসের রাজনৈতিক যাত্রা
ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে বিজয়ী স্বল্প পরিচিত রাজনীতিবিদ লিজ ট্রাসের রাজনৈতিক যাত্রা বেশ বৈচিত্র্যময়। তিনি তার পূর্বসূরির মতো ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে সুপরিচিত নন। এমনকী, টোরি দলের সংসদ সদস্যদের কাছেও প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য সবচেয়ে যোগ্য দাবিদার ছিলেন না।
তবে কনজারভেটিভদের মৌলিক মূল্যবোধগুলোতে ফিরে যাওয়ার যে প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছেন অর্থাৎ, কর কর্তন ও রাষ্ট্রের ক্ষমতা কমিয়ে জনগণের ক্ষমতা বাড়ানো, তা দলের সদস্যদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত তাদের ভোটেই বরিস জনসনের বদলে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হলেন লিজ ট্রাস।
এ ছাড়াও, প্রতিদ্বন্দ্বী ধনী পরিবারের সন্তান ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত রিশি সুনাকের তুলনায় লিজকে কর্মীরা কাছের মানুষ হিসেবে বিবেচনা করেছেন। যার প্রতিফলন ঘটেছে ভোটের