অবশেষে জাপানে সরকারি অফিসে ফ্লপি ডিস্ক ব্যবহারকে বিদায় জানানোর ঘোষণা করল দেশটির সরকার। তবে জাপান সরকারিভাবে ফ্লপি ডিস্ক ব্যবহার নিষিদ্ধ করেনি। বর্তমানে, জাপানে আমলাতন্ত্র থেকে ফ্লপি ডিস্ক, ফ্যাক্স মেশিন এবং আরও অনেক কিছু সহ অপ্রচলিত প্রযুক্তিকে বাতিল করার চেষ্টা করছে। ব্লুমবার্গের মতে, দেশটিতে ১৯০০ সরকারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সিডি সহ ফ্লপি ডিস্কের এখনো প্রয়োজন।
এবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানাল নতুন প্রযুক্তির পথে হাঁটছে জাপান। জাপানের ডিজিটাল মন্ত্রী তারো কোনো জানিয়েছেন, এখন পুরনো প্রযুক্তিকে জানানোর সময়। সম্প্রতি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘এখন ফ্লপি ডিস্ক কোথায় কিনতে পাওয়া যায়?’ আমরা নতুন প্রযুক্তির দিকেই হাঁটব। বর্তমানে স্মার্টফোনে এক টেরাবাইট ও ক্লাউডে আরও বেশি স্টোরেজ মিলছে সেখানে ফ্লপি ব্যবহার অযৌক্তিক।
২০০০ সালের পরে যাদের জন্ম, তাদের ফ্লপি ডিস্ক সম্পর্কে জানার সম্ভাবনা কম। কিন্তু গত শতাব্দীর দীর্ঘ সময় কম্পিউটারে প্রধান স্টোরেজ ডিভাইস হিসেবে ব্যবহার করা হলো ফ্লপি ডিস্ক। সিডি কিংবা পেনড্রাইভের আগে ফ্লপি ডিস্কেই ডেটা সংরক্ষণ করা হতো। আয়তকার এই ডিভাইসে খুব কম ডেটা স্টোর করা যেত। এখন খুব বেশি জায়গায় ব্যবহার হয় না এই প্রযুক্তি।
Post Views: ৮