খাবার বদহজম হলে শারীরিক অস্বস্তি, পেটে ব্যথা, জ্বলন ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। অনেকেই এই ভয়ে অনেক ধরনের খাবার এড়িয়ে চলেন। তাই আপনার জন্য রইল ঘরোয়া প্রতিকার, যা আপনাকে বদহজমের সমস্যা থেকে দ্রুত আরাম দেবে।
পেটের অস্বস্তি কমাতে ও হজমশক্তি বাড়াতে আদার সুখ্যাতি রয়েছে। বদহজম তাড়াতে আদার সাপ্লিমেন্ট, আদার মিছরি খেতে পারেন অথবা আদা চা পান করতে পারেন।
পুদিনা বদহজম, আন্ত্রিক পেশি সংকোচন ও বমিভাব প্রশমিত করতে পারে। বদহজম দূর করতে দিনে দুই-তিন বার পুদিনার ক্যাপসুল (পেপারমিন্ট অয়েল সাপ্লিমেন্ট) সেবন করতে পারেন। পুদিনা চা পছন্দ করলে দেড় চা-চামচ শুষ্ক পুদিনা পাতা এক মগ পানিতে ফুটিয়ে নিন।তারপর চা বানিয়ে গরম বা ঠান্ডা অবস্থায় পান করতে পারেন। বুকজ্বালা থাকলে পুদিনা সুপারিশকৃত নয়।
বদহজমের চিকিৎসা হিসেবে অনেক আগে থেকে ক্যামোমাইলের ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি পাকস্থলি ও আন্ত্রিক নালিকে প্রশান্ত করতে পারে। দিনে তিন-চার কাপ ক্যামোমাইল চা পান করে দেখতে পারেন।
এক চা-চামচ আপেল সিডার ভিনোগার আধ মগ পানিতে মিশিয়ে পান করতে পারেন। যাদের পেটপুরে খাবার খাওয়ার অভ্যাস আছে, তাদের বদহজম দূরীকরণ বা প্রতিরোধের জন্য এটা বিশেষ কার্যকর হতে পারে।
বদহজম তাড়ানোর আরেকটি কার্যকরী উপায় হলো মৌরি বীজ চাবানো। এই বীজ থেকে নিঃসরিত তেল অন্ত্রের পেশি সংকোচন, বদহজম, বমিভাব ও গ্যাস কমাতে পারে। দুই-তিন চা চামচ মৌরি বীজের গুড়া দিয়ে তৈরিকৃত চা-ও পান করতে পারেন
এক মগ পানিতে এক চা-চামচ বেকিং সোডা নাড়ুন ও পান করুন। এই দ্রবণ পাকস্থলির অ্যাসিডকে নিষ্ক্রিয় করে এবং গ্যাস ও পেটফাঁপা কমায়। এই দ্রবণের কার্যকারিতা বাড়াতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশাতে পারেন।
বদহজম এড়াতে করণীয়
ফলের রসের ফ্রকটোজ পেট ব্যথা ও গ্যাস সৃষ্টি করতে পারে, কারণ এটি হজম না হয়েই কোলনে যায়। তাই নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া প্রতিরোধ করতে খাবার খাওয়ার পর ফলের রস পান করুন।
যদি পনির অথবা অন্যকোনো দুগ্ধজাত খাবার গ্যাস বৃদ্ধি ও পেটফাঁপার অনুভূতি দেয়, তাহলে আপনার সম্ভবত ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স রয়েছে। আপনার বদহজমের প্রবণতা থাকলে খাদ্যতালিকা থেকে ল্যাকটোজ বাদ দিয়ে দিন।
খাবার খাবেন ধীরে ধীরে এবং অবশ্যই চাবাবেন। খাবার চিবিয়ে না খেলে শরীরের ভেতর বাতাস ঢুকে গ্যাস বৃদ্ধি ও পেটফাঁপা হতে পারে।
ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে তিন ঘন্টা আগে খাবার খেয়ে নিন। কারণ ঘুমের সময় খাবার ভালোভাবে হজম হয় না।