ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। খবর মিডল ইস্ট আইয়ের।অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের সেনাদের বহনকারী একটি বাসে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ছয় সেনা সদস্য ও বাসের চালক। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে।এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়েছে দুই ফিলিস্তিনিকে।
সেনাবাহিনী জানায়, ইসরায়েলের হামরা বসতির কাছে জর্ডান ভ্যালির উত্তর অংশের হাইওয়েতে একটি ট্রাক থেকে বাসে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে সশস্ত্র ব্যক্তিরা।
গণমাধ্যমকে এক সেনা কর্মকর্তা জানান, গুলিতে আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তাকে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে হাইফার রামবাম হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বাকি পাঁচ সেনা ও চালকের অবস্থা খুব একটা গুরুতর নয়।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজে জানিয়েছে, পালানোর সময় হামলাকারীদের গাড়িতে আগুন ধরে যায়। এসময় হামলায় জড়িত দুইজনকে আটক করা হয়। ককটেল বিস্ফোরণের কারণে হয়তো গাড়িতে আগুন ধরেছে, ধারণা সেনাবাহিনীর। অপর ব্যক্তি পালাতে সক্ষম হয়েছেন। তাকে ধরার জন্য অভিযান চলছে।
‘আল-আকসা মসজিদে আগ্রাসন ও বন্দিদের বিরুদ্ধে নির্যাতন এবং ইহুদি দখলদার ও তাদের বসতিস্থাপনকারীদের অপরাধের প্রতিক্রিয়ায় চালানো’ হামলার প্রশংসা করেছেন গাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংগঠন হামাসের এক মুখপাত্র।
অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে চলতি বছর ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র হামলার মাত্রা বেড়েছে। গত মাসে, অজ্ঞাত এক বন্দুকধারী রামাল্লার কাছে সিলওয়াদে ইসরায়েলি বসতিস্থাপনকারীদের বহন করা বাসে হামলা চালান। যদিও এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
পশ্চিম তীরের বিভিন্ন অংশে প্রায় প্রতিদিন অভিযান ও আটকের ঘটনায় উত্তেজনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব ঘটনায় হরহামেশা ফিলিস্তিনিরা আহত বা নিহত হচ্ছেন।
চলতি বছর ১৪০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে ইসরায়েলের সেনাদের হাতে। গাজায় নিহত হয়েছেন ৪৯ জন। আর অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে নিহত হয়েছেন ৯১ জনের বেশি ফিলিস্তিনি।