প্রধানমন্ত্রী মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট ও চট্টগ্রামের চা-শ্রমিকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।চা-শ্রমিকদের দেওয়া স্বর্ণের চুড়ি পরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘চা-শ্রমিক ভাইয়েরা চার আনা, আট আনা করে জমিয়ে আমাকে এ উপহার দিয়েছেন। এতবড় সম্মান, এতবড় উপহার আমি আর কখনো পাইনি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা গণভবনে আমার সঙ্গে সাক্ষাত করতে উপহার (স্বর্ণের চুড়ি) নিয়ে এসেছিলেন। সেই উপহার এখনো আমি হাতে পরে বসে আছি। আমি কিন্তু ভুলিনি। আমার কাছে এটা হচ্ছে সব থেকে অমূল্য সম্পদ।’
চা শ্রমিকরা সবসময় নৌকা মার্কায় ভোট দেন বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চা শ্রমিকরা আমাদের দেশেরই নাগরিক। কিন্তু এক সময় তাদের নাগরিকত্ব ছিল না। ঘরবাড়ি ছিল না। যেহেতু চা শ্রমিকরা সবসময় নৌকা মার্কায় ভোট দেন, সেহেতু আমরা চেষ্টা করেছি আপনাদের সমস্যাগুলো দূর করতে।’
দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে টানা ২০ দিন কর্মবিরতি পালন করেন চা শ্রমিকরা। পরে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ১৭০ টাকা মজুরিতে কাজে ফেরেন তারা।
দৈনিক মজুরি বাড়ানোর দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে আন্দোলন করে আসছিলেন দেশের ২৪১টি চা বাগানের সোয়া লাখ শ্রমিক। প্রথম চারদিন শ্রমিকরা প্রতিদিন দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন। এরপর ১৩ আগস্ট থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন শুরু করেন তারা।
এরপর ২৭ আগস্ট গণভবনে চা বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকের পর নতুন মজুরির ঘোষণা আসে। এরপর শ্রমিকরা নিজ নিজ বাগানে কাজে ফেরেন।
তবে চা-শ্রমিকরা তাদের সুখ-দুঃখ ও দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার দাবি জানান। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়।