৮ প্রকল্প বাদ যাচ্ছে ভারতীয় ঋণ সম্মতিতেই - নাগরিক দৃষ্টি টেলিভিশন " /> ৮ প্রকল্প বাদ যাচ্ছে ভারতীয় ঋণ সম্মতিতেই - নাগরিক দৃষ্টি টেলিভিশন
সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৮ অপরাহ্ন
নিউজ বোর্ড :
ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটকদের মাঝে আস্থার জায়গা তৈরি করছে : আইজিপি ইউজিসির পরামর্শ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট হালনাগাদের সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেছেন আদিলুর-নাসির কাদেরের হুঁশিয়ারি.বিএনপির কালো হাত গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে কারাগারে গিয়ে খালেদাকে আবেদন করতে হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট করল,কানাডা-ভারত দ্বন্দ্ব নিয়ে নিজেদের অবস্থান নিহত ১৬,চীনে কয়লা খনিতে ভয়াবহ আগুন বাংলাদেশের ব্রোঞ্জ জয়,পাকিস্তানকে হারিয়ে যেসব মানুষের বাস উড়োজাহাজে প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছেছেন পিবিআই মামলা তদন্তে দক্ষতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে : আইজিপি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে,বিএনপির আল্টিমেটাম পাবনায় অনুকুল ঠাকুরের আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে তিনদিনের মহোৎসব শুরু হয়েছে মালদ্বীপে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভায় বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি। মধ্য বয়সীরা ডেঙ্গুতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আইনগত জটিলতা রয়েছে খালেদাকে বিদেশ নিতে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান বিএনপি নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে ডিএমপি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রসঙ্গে যা জানাল ভিসা নীতি নিয়ে পুলকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মিয়ানমার ৪ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল
নোটিশ বোর্ড :
জরুরি ঘোষণাঃ আমাদের আই টি বিভাগের কারিগরি উন্নয়ন এর কাজ চলছে! এতে প্রচারে বিঘ্ন ঘটতে পারে সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত। #Ndtvbdnewsroom “জরুরী আবশ্যক”বেসরকারী অনলাইন টেলিভিশন চ্যানেল ” নাগরিক দৃষ্টি টেলিভিশন ” এনডিটিভি তে এ উপস্থাপক উপস্থাপিকা, ভয়েস আটির্স,অফিস সহকারী পুরুষ – মহিলা এসএসসি,এইচএসসি,স্নাতক,ছবি সহ আবেদন করতে হবে এই মেইলে hr@ndtvbd.com * পরিক্ষামুলক সস্প্রচার * পরিক্ষামুলক সস্প্রচার * নাগরিক সাংবাদিকতার পথে ,আপনি হতে পারেন নাগরিক সাংবাদিক, দেরি না করে এখনি পাঠিয়ে দিন আপনার ছবি সহ বায়োডাটা এই মেইলে hr@ndtvbd.com, আপনারা যদি কোন সংবাদ বা নিউজ ক্লিপ পাঠাতে চান তাহলে এই মেইলে পাঠাতে পারেন news@ndtvbd.com– Head Of News–* পরিক্ষামুলক সস্প্রচার * পরিক্ষামুলক সস্প্রচার * পরিক্ষামুলক সস্প্রচার * পরিক্ষামুলক সস্প্রচার * পরিক্ষামুলক সস্প্রচার

৮ প্রকল্প বাদ যাচ্ছে ভারতীয় ঋণ সম্মতিতেই

Untitled

5 / 100

ভারত লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) ১, ২ ও ৩-এর আওতায় বাংলাদেশের সঙ্গে ৮০০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি করে। ২০১০ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার প্রথম ঋণচুক্তি হয়েছিল ১০০ কোটি ডলারের, যদিও পরে ঋণের পরিমাণ ৮৬ কোটি ২০ লাখ ডলারে নেমে আসে। বাকি ১৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার পদ্মা সেতু প্রকল্পে অনুদান হিসেবে দেয় ভারত। ভারতীয় ঋণের ফাঁদে পড়েছে বাংলাদেশ। ঋণের টাকা ছাড়ের আগেই শুরু হয়ে গেছে পরিশোধের দিন গণনা। সম্মতির ভিত্তিতে দুই দেশের করা ঋণচুক্তি থেকে মোট আটটি প্রকল্প বাদ দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।সূত্র জানায়, ভারতের সঙ্গে ২০১০ সালে ঋণচুক্তিতে ১৫টি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই, কোনোটার ভূমি অধিগ্রহণ, ঠিকাদার নিয়োগসহ প্রকল্প নেওয়ার অন্য যে নিয়মগুলো রয়েছে তা শেষ করে কোনো প্রকল্প নেওয়া হয়েছে ২০১২ সালে, কোনোটি ২০১৫ বা ২০১৭ সালে। তবে এ ৮৬ কোটি ২০ লাখ ডলার বাংলাদেশকে ২০৩০ সালের মধ্যে শোধ করতে হবে। অন্য দাতা সংস্থাগুলোর ঋণ পরিশোধ প্রকল্প নেওয়ার বা অর্থনৈতিক চুক্তি করার পর থেকে শুরু হয়। তবে ভারতের ক্ষেত্রে পদ্ধতিটা ভিন্ন। ২০১০ সালের চুক্তির আওতায় ২০১৬ সালে নেওয়া প্রকল্পটি ২০৩৬ সালের বদলে ২০৩০ সালের মধ্যে যেমন পরিশোধ করতে হবে। আবার ২০১০, ২০১২, ২০১৫ বা ২০১৭ সালের নেওয়া প্রকল্পেরও ঋণ পরিশোধ করতে হবে ২০৩০ সালের মধ্যে। এ অনুযায়ী কোনো প্রকল্প যদি ২০২৯ সালে নেওয়া হয়, তবে সেই টাকাও পরিশোধ করতে হবে ২০৩০ সালের মধ্যে।

Untitled

একইভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ২০১৫ সালে করা ২০০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি অনুযায়ী ১৫টি প্রকল্প চিহ্নিত করা হয়। এ চুক্তির আওতায় নেওয়া ১৫টি প্রকল্প যখনই শুরু করা হোক না কেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ২০০ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হবে। আর ২০১৭ সালে করা তৃতীয় ঋণচুক্তিতে মোট ১৬টি প্রকল্পে ৫০০ কোটি ডলারের ঋণ দিতে চায় ভারত। এখানেও প্রকল্প যখনই শুরু হোক না কেন বাংলাদেশকে ২০৩৭ সালের মধ্যে এই ৫০০ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হবে। তিনটি চুক্তিতেই ১ শতাংশ সুদে ২০ বছরের মধ্যে পরিশোধের বিধান রাখা হয়েছে। এই ২০ বছরের মধ্যে ৫ বছর রেয়াদকাল বা গ্রেস পিরিয়ড রয়েছে।

বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য দাতা সংস্থা ও দেশের সঙ্গে চুক্তির বিষয়গুলো ব্যাখ্যায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে সমকালকে বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে কোন প্রকল্পে কত টাকা ঋণ দেবে, সেটি তারা আগে ঠিক করে। এরপর বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। এরপর একটি একটি করে প্রকল্প ঠিক হয়, আর সেই প্রকল্পের অর্থনৈতিক চুক্তি সই হয়। যে দিন অর্থনৈতিক চুক্তি সই হয়, সেই দিন থেকে প্রকল্পের মেয়াদের দিন গণনা শুরু হয়। এই একই প্রথা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, জাপান, চীন থেকে শুরু করে অন্য দাতা সংস্থা ও দেশগুলোর ক্ষেত্রেও হয়ে থাকে।

ভারতের ঋণে এই দিন গণনা নিয়ে জটিলতা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঋণ পরিশোধ বা প্রকল্প মেয়াদের দিন গণনা নিয়ে অন্য উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে ভারতের ঋণের পার্থক্য রয়েছে। ২০১০ সালে ভারতের সঙ্গে যে ঋণ চুক্তি বাংলাদেশের হয়েছে, সেই দিন থেকেই ঋণ পরিশোধের দিন গণনা শুরু করেছে ভারত। আর এটিও হয়েছে দুই দেশের চুক্তি অনুযায়ী।

ঋণ চুক্তি আমরা যেভাবে করেছি, সেভাবেই এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস। তিনি বলেন, চুক্তিতে এভাবেই রয়েছে। এটি চুক্তির সমস্যা।

ঋণ চুক্তিগুলোতে থাকা বেশ কিছু প্রকল্প বাদ পড়ছে নিশ্চিত করে তিনি বলেন, প্রকল্প বাদ দেওয়ার বিষয়ে ভারত রাজি রয়েছে। ভারত জানিয়েছে প্রকল্প বাদের বিষয়ে তাদের কোনো অসুবিধা নেই। বাংলাদেশ যদি কোনো প্রকল্প বাদ দিতে চায়, তাহলে বাদ দিতে পারবে।

ঋণের পরিমাণ নিয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশের এ জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক বলেন, মোট যে ঋণ চুক্তি রয়েছে, সেটি থাকবে। সে ক্ষেত্রে অন্য প্রকল্পে এ টাকা ব্যবহার করা যাবে বা নতুন কোনো প্রকল্প নিতে চাইলে সেখানে অর্থায়নটি করা যাবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ঋণ চুক্তিগুলো যখন হয়েছিল সে সময়ে ইআরডি তার যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। একটি দেশের সঙ্গে চুক্তির ক্ষেত্রে চুক্তির ভাষাসহ অন্যান্য যে শর্তগুলো রয়েছে, তা অনুধাবন করার বিষয় রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ইআরডি কর্মকর্তারা হয়তো ইংরেজি বোঝেননি। এতে করে ভারতের ঋণের ১ শতাংশ সুদের যে সুবিধা তা বাংলাদেশের জন্য লাভজনক হওয়ার বদলে লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন হিসাব করলে দেখা যাবে, ঋণ পরিশোধের সময় সীমাবদ্ধতার কারণে এই ১ শতাংশ সুদ বেড়ে ২-৩ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে। এ কারণেই এতদিন বসিয়ে রাখলেও তড়িঘড়ি করে সামরিক খাতের ঋণটি ব্যবহার করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ঋণের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরে এত বিস্তারিত কথাবার্তা না হলেও বিষয়টি আলোচনার টেবিলে আসবে।

ইআরডি সূত্র জানায়, সমস্যাটি আসলে চুক্তির সময়েই হয়েছে। তবে এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভারতের ঋণ চুক্তির বিষয়টি আমরা আগে বুঝতে পারিনি। ইতোমধ্যে বেশ কিছু প্রকল্প যেগুলো শুরু করতে বা বাস্তবায়নে বেশি সময়ের প্রয়োজন, তা বাদ দেওয়া হচ্ছে। সেসঙ্গে ভারতের সঙ্গে দরকষাকষিতে বাংলাদেশ আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্ষমতা দেখাচ্ছে। যেমন ভারতের ঋণ চুক্তিতে ৭৫ শতাংশ কাঁচামাল ভারত থেকে সংগ্রহ করার একটি বাধ্যবাধকতা ছিল। সেই বিষয়টি প্রকল্পভেদে ৬৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে ভারতকে রাজি করাতে পেড়েছি। কোনো ক্ষেত্রে সেটি ৫০ শতাংশ নামিয়ে আনার সম্ভাবনাও রয়েছে। আগামী থেকে ভারতের সঙ্গে প্রকল্পভেদে আলাদা আলাদা করে ঋণ নেওয়া হবে বলেও ভারত রাজি রয়েছে।

ইআরডি কর্মকর্তারা জানান, ভারতের সঙ্গে যেভাবে চুক্তি হয়েছে সে অনুযায়ী সব প্রকল্প এক দিনে নেওয়া সম্ভব নয়। ২০১৫ সালে যেদিন চুক্তি হয়, সেই দিনই প্রকল্প হাতে নেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব না। কোনো দেশই তা পারবে না। তাই বেশ কিছু প্রকল্প বাদ দেওয়া হচ্ছে। আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে যেসব প্রকল্প শুরু করা সম্ভব হবে না, সেগুলো মূলত বাদ দেওয়া হচ্ছে। যেমন সৈয়দপুর বিমানবন্দর নিয়ে ভারতের একটি ঋণ প্রকল্প ছিল। যেহেতু এটি সময়সাপেক্ষ প্রকল্প, তাই এটি বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪টি প্রকল্প নিশ্চিতভাবেই বাদ দেওয়া হয়েছে। আরও ৪টি বাদ হওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। প্রয়োজনে আরও প্রকল্প বাদ দেওয়া হতে পারে।

ইআরডি সূত্র জানায়, ভারতের তিনটি ঋণচুক্তির আওতায় ২০১০ সাল থেকে ৭৩৬ কোটি ২০ লাখ ডলারের মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ১২৩ কোটি ডলার পাওয়া গেছে। প্রথম ঋণচুক্তি থেকে ৭২ কোটি ৭৬ লাখ ডলার, দ্বিতীয় ঋণচুক্তির ২৩ কোটি ৭৭ লাখ ডলার এবং তৃতীয় ঋণচুক্তি থেকে ২৬ কোটি ৩৬ লাখ ডলার এখন পর্যন্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।

সূত্র জানায়, দ্বিতীয় ঋণচুক্তির ১৫ প্রকল্পের মধ্যে তিনটি বাদ দেওয়া হয়েছে। এর ২টি শেষ হয়েছে, তিনটি ডিপিপি পর্যায়ে রয়েছে, বাকি ৭টি বাস্তবায়ন পথে রয়েছে। তৃতীয় ঋণচুক্তির ১৬ প্রকল্পের মধ্যে একটি বাদ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ১৫টি প্রকল্পের মধ্যে ৭টি ডিপিপি পর্যায়ে আছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা