স্থানীয় সময় শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) দেয়া এ রায়ের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন মামলায় সু চির কারাদণ্ডের মেয়াদ বেড়ে দাঁড়াল ২০ বছরে।ভোট জালিয়াতির অভিযোগে করা মামলায় মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত গণতন্ত্রপন্থি নেতা অং সান সু চিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বার্তা সংস্থা এপির বরাতে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, সর্বশেষ কারাদণ্ডে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) ভবিষ্যৎ আরও ঝুঁকিতে পড়ল। ২০২৩ সালে জাতীয় নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেয়া জান্তা সরকার আগামী বছরের আগেই সু চির দলকে নিষিদ্ধ করার হুমকি দিয়ে রেখেছে।
২০২০ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয় শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চির দল। পরের বছরের পয়লা ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করে সেনাবাহিনী।
অভ্যুত্থানের কারণ হিসেবে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, ভোটে স্থুল কারচুপির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। যদিও স্বতন্ত্র নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা ভোটে বড় কোনো কারচুপির প্রমাণ পাননি।
নির্বাচনে কারচুপির মামলায় সু চির পাশাপাশি আসামি করা হয় তার নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারের জ্যেষ্ঠ দুই সদস্যকে। তাদেরও তিন বছরের সাজা দেয়া হয়েছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চিকে আটক করা হয়। ইতিমধ্যে দুর্নীতি ও উসকানিসহ বেশ কয়েকটি অপরাধে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।