রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আসামির উপস্থিতিতে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়। পাবনার সাঁথিয়ায় মোছা. আলেয়া খাতুন নামের এক গৃহবধূকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে একজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ধর্ষণচেষ্টার দায়ে আসামিকে ৫ বছরের কারাদণ্ড, অনাদায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং লাশ গুমের দায়ে দুই বছর কারাদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. টুটুল উপজেলার চর পাইকারহাটি গ্রামের আতাহার মল্লিকের ছেলে। নিহত আলেয়া খাতুন একই গ্রামের আরদোশ মল্লিকের স্ত্রী।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, নিহত আলেয়া খাতুন বাড়ির পাশে লাকড়ি কুড়াতে ও জমি দেখতে যান। এ সময়ে আসামি টুটুল তাকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু আলেয়া খাতুনের প্রতিরোধের কারণে আসামি তাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হন। পরে টুটুল ওই গৃহবধূকে শাড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন এবং ধান ক্ষেতে মরদেহ লুকিয়ে রাখেন। এ ঘটনার ৬ দিন পর সন্দেহজনকভাবে টুটুলকে আটক করলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন এবং লুকানো মরদেহ বের করে দেন।
এ ঘটনায় নিহত আলেয়া খাতুনের মেয়ে মোছা. সাবানা আক্তার বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় টুটুলের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে রোববার আদালত রায় ঘোষণা করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী চোধুরী রাজিয়া সুলতানা টুলটুলি বলেন, আমরা এ রায়ে ক্ষুব্ধ। কারণ আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো। আশা করি- আমার মক্কেল সেখানে ন্যায় বিচার পাবেন এবং নির্দোষ প্রমাণিত হবেন।
তবে রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ট্রাইব্রুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুর রকিব। তিনি বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি দৃষ্টান্তমূলক রায়। আশা করি আইনি প্রক্রিয়া শেষে খুব দ্রুত আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে।