" />
জ্বালানিখাতে অব্যবস্থাপনা, লোডশেডিং, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি দিতে হবে’ বলে দলীয় নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে পড়েছেন সমাবেশের সভাপতি ও পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির একাংশের আহবায়ক জিয়াউল ইসলাম সন্টু সরদার।
ওই সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের সামনে সভাপতির বক্তব্য দেওয়ার সময় ‘শেখ হাসিনার মুক্তি দিতে হবে’ বলে বক্তব্য দেন জিয়াউল ইসলাম সন্টু সরদার। তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা বিএনপির একাংশের আহবায়ক জিয়াউল ইসলাম সন্টুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আজমল হোসেন সুজনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস সমাদ খান মন্টু, আনিসুল হক বাবু, নুর মাসুম বগা, সদস্য সচিব মাসুদ খন্দকার, সদস্য আবুল হাশেম, মনোয়ার শামীম, সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, ডা. আহমেদ মোস্তফা নোমান, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রকিবুল ইসলাম রকি প্রমুখ।
এ বিষয়ে বিএনপির কর্মী আমিরুল ইসলাম বলেন, দলের শীর্ষ নেতাই যদি এমন কথা বলেন, তাহলে আমরা কর্মীরা কিভাবে এমন নেতার নেতৃত্বে রাজনীতি করবো।
এ প্রসঙ্গে জিয়াউল ইসলাম সন্টু সরদার বলেন, কথাটা মুখ ফসকে বের হয়ে গেছে। আমিও একজন মানুষ, আমারও ভুল হতে পারে।
এই বক্তব্যের পরপরই নিজের ভুল শুধরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে বক্তব্য দেন বলে জানান বিএনপির এই নেতা।