প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকেল তিনটার দিকে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের জন্যে জেলা শহরের উপজেলা পরিষদের সামনে জড়ো হন জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। একই সময় যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে ঘটনাস্থল অতিক্রম করতে গেলে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। এ ছাড়া সাতটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে আমিন (২২), ইভান (২৩), সাব্বির (২৪) ও ইমনকে (২২) মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ সময় গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সদর উপজেলা পরিষদের দু’পাশে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-ঝিনাইদহ মহাসড়কের দু’পাশে শতশত যানবহন আটকে যায়। বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট। এক পর্যায়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।মাগুরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও যুবলীগ-ছাত্রলীগের সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সাতটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুর রহমান জানান, মাগুরা পৌরসভার ১ ও ২নং ওয়ার্ডে জাতীয় শোক দিবস ও ১৫ আগস্টের কর্মসূচি পালন শেষে একটি মিছিল নিয়ে ফিরে আসার পথে সদর উপজেলা পরিষদের পাশে বিএনপির পার্টি অফিস থেকে আমাদের ওপর অতর্কিতে বোমা হামলা ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদেরকে প্রতিহত করে।
জেলা যুবদলের সভাপতি ওয়াশিকুর রহমান কল্লোল বলেন, সদর উপজেলা পরিষদের পাশে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের মধ্যে পুলিশি পাহারায় আলোচনা সভা চলাকালে যুবলীগ-ছাত্রলীগ অতর্কিত হামলা চালায়। আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় অস্থায়ী কার্যালয়, সাতটি মোটরসাইকেল ও অটোরিকশায় অগ্নিসংযোগ করা হয়।
মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) অসিত কুমার রায় বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। আমাদের অভিযান চলছে। দু’পক্ষের বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন বলে জেনেছি।