" />
ফিফাপ্রধান জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বারবারই বলে আসেন, এবারের বিশ্বকাপ হবে আগের সব বারের সেরা। তাতেও থামেনি বিতর্ক। শ্রমিক নির্যাতন, জোর করে বাড়তি সময় কাজে রাখা, আবার বেতন-ভাতা সময়মতো পরিশোধ না করা- এসব নিয়ে বিশ্বের নামিদামি গণমাধ্যমগুলো ফলাও করে একাধিক প্রতিবেদন ছাপায়। ফুটবলের মেগা আসরের আয়োজক হওয়ার পর থেকেই কাতারকে নিয়ে নানা আলোচনা। বিভিন্ন দেশের নীতিনির্ধারক, অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান, এমনকি কোচরাও একহাত নেন; কাঠগড়ায় তোলেন ফিফাকে। অবশ্য সেসব সমালোচনা কানে নেননি ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্তারা। কিন্তু কে শোনে কার কথা! প্রথমবারের মতো জুন-জুলাই উইন্ডো বদলে আরববিশ্বে ওঠে বিশ্বকাপের ঢেউ। কাতার অনেকটা তড়িঘড়ি করেই বদলে দেয় তাদের বিভিন্ন অবকাঠামোর চেহারা। এতে বুমেরাং হয়ে কয়েকটা জায়গায়।
দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিল, গত এক দশকে কাতারে বিভিন্ন স্থাপনায় কাজ করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন সাড়ে ছয় হাজারের মতো শ্রমিক। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেয় কাতার। এবার যখন বিশ্বকাপের বাকি ৮৭ দিন, তখনই দেশটিতে নতুন উত্তেজনা। বেতনের দাবিতে দোহার রাস্তার গত সপ্তাহে বহু শ্রমিক করেছেন আন্দোলন। সেটা দমাতে ঘটনাস্থল থেকেই ৬০ জনের বেশি শ্রমিককে আটক করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মূলত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আল বান্দরী ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ সময়মতো এসব শ্রমিকের বেতন না দেওয়ায় রাস্তায় বিক্ষোভে নামেন তাঁরা। যে প্রতিষ্ঠানই বিশ্বকাপ উপলক্ষে বিভিন্ন স্থাপনার নির্মাণকাজ, হোটেলের উন্নয়ন, খাবারের সেবা এসব দায়িত্ব পালন করবে- তাদের হাতেই দেশটি কাজগুলো গুছিয়ে নেওয়ার ভার অর্পণ করেছিল। কিন্তু তারা সেটা ঠিকঠাক পালন করছে না।
এ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেও বিবৃতি দিয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। সেই সঙ্গে তারা এও জানিয়েছে, যদি এই বকেয়া আল বান্দরী গ্রুপ শোধ না করে, তাহলে কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয় সব অর্থ পরিশোধ করে দেবে। তবে বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে এমন পরিস্থিতি তৈরি করায় আল বান্দরী গ্রুপকে ছাড় দেবে না কাতার। তারা এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।
২০ নভেম্বর থেকে শুরু কাতার বিশ্বকাপ। ১৮ ডিসেম্বর শেষ হবে ফুটবলের এই মহারণ। এই প্রথম শীতকালে হবে বিশ্বকাপ। কাতারের আটটি ভেন্যুতে ৩২ দলের এই মহাযজ্ঞে ফুটবলবোদ্ধাদের চোখে ফেভারিট আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ফ্রান্স, জার্মানিসহ আরও কয়েকটি দেশ।