" />
বুধবার সিইসির সঙ্গে নির্বাচন ভবনে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন। এদিন ভাসানী অনুসারী পরিষদের নিবন্ধনের দাবি নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাক্ষাৎ করেন ডা. জাফরুল্লাহ। তিনি দলটির প্রধান উপদেষ্টা।১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্তকে ভুল উল্লেখ করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আমার কাছে মনে হয়, ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনও শতভাগ একমত হয়নি। তারাও সরকারের চাপে আছেন, তারা ভাবছেনডা. জাফরুল্লাহ বলেন, সবাইকে নির্বাচনে নেওয়ার মূল দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তাই এমন কিছু করা ঠিক হবে না যাতে নির্বাচনই না হয়। ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত ভুল হয়েছে। এজন্য আমার প্রস্তাব হলো- ১৫০ আসনের পরিবরর্তে ৩০০ আসনের ৫টি করে কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করার।
তিনি বলেন, বিএনপিসহ অন্য দলগুলো যদি ইভিএমের কারণে যদি নির্বাচন বয়কট করে, নির্বাচনটাই বন্ধ হয়ে যায় তাহলে দায়টা ইসির ঘাড়ে চাপবে। এটা জাতির জন্য খুব দুর্ভাগ্যজনক হবে। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। সরকার যেমন দায়ী হবে, ইসিও তেমনই দায়ী হবে। আমার কাছে মনে হয়েছে, ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনও শতভাগ একমত হয়নি। তারা সরকারের চাপে আছেন, তারা ভাবছেন।
তিনি আরও বলেন, ইভিএম আরেকটা ভোটের চক্রান্ত। কেন দায়িত্বটা আপনি নেবেন? ইভিএমের মাধ্যমে প্রতারণার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। সেজন্য ইভিএম গ্রহণ করা যাবে না। আমাদের জন্য দরকার সুষ্ঠু নির্বাচন, শেখ হাসিনার জন্যও দরকার।
জনস্বার্থবিরোধী কিছু হলে মেরুদণ্ড শক্ত রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল পদত্যাগ করবেন আশা করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আমার কাছে মনে হয়, এখনও সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনার শুনতে চান। সিইসি জজ ছিলেন, অপর পক্ষের বক্তব্য শুনতে চান। এটা তার যোগ্যতা। তাই আমি এখনও আশাপ্রদ যে, তিনি নিশ্চয় সফল হবেন। শক্ত থাকবেন।
এ সময় ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, সিনিয়র যুগ্ম যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক ড. সেলিমসহ রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পদ্ধতি বাতিলের দাবি পরিষদের আহ্বায়ক সৈয়দ হারুন অর রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।