বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে আইভি রহমানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বেগম আইভি রহমান মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটি আয়োজিত স্মরণসভায় মতিয়া চৌধুরী এসব কথা বলেন।আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি এ দেশে হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে
তিনি বলেন, রাজনীতি আমরা করছি অনেকটা মৃত্যুকে হাতে নিয়েই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু চক্রান্তকারীরা সফল হতে পারেনি।
আইভি রহমানের স্মৃতিচারণ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, দেশের নারীমুক্তি ও মানবমুক্তির জন্য আইভি রহমানের যে সংগ্রাম, সেটি বৃথা যাবে না। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দিন হামলাকারীরা যে কোনোভাবে শেখ হাসিনাকে শেষ করতে চেয়েছিল। সেদিন আহতরা যাতে চিকিৎসা সুযোগ না পায়, সে নির্দেশনাও তৎকালীন সরকার দিয়েছিল।
সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হয়। বিএনপি গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বিরোধীদলের নেতাদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার যে কাজটি রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে করেছে, এরপর তাদের রাজনীতি করার নৈতিক অধিকারই থাকে না। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর বিএনপি বাংলাদেশে রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার হারিয়ে ফেলেছে। ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় থাকতে চায়, ক্ষমতা দখল করতে চায়- তাদের রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করে যত দ্রুত একঘরে করে দেওয়া যায় ততই মঙ্গল।
তিনি আরও বলেন, ২১ আগস্টের ঘটনা ছিল সুপরিকল্পিত। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর ও মুফতি হান্নানসহ অন্যান্য জঙ্গিদের নিয়ে হাওয়া ভবনে বৈঠক করেন তারেক জিয়া। মুফতি হান্নানের ভাই মাওলানা তাইজুদ্দিন পাকিস্তান থেকে হামলার গ্রেনেড নিয়ে এসেছিলেন। সরকারের ইন্ধন ছাড়া একটি দেশে কীভাবে এই বোমা নিয়ে এসেছে?
আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য মশিউর আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, সংসদ সদস্য কানিজ ফাতিমা আহমেদ, আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা এমএ করিম, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।