বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন প্রকার সংশয় ও ইভিএম পদ্ধতিতে ত্রুটিমুক্ত করার প্রস্তাবগুলোকে আমলে না নিয়ে নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অর্ধেক আসনে ইভিএম ব্যবহারের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটা নিতান্তই হতাশাব্যঞ্জক। বস্তুত এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন হুদা কমিশনের সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখল।
এর জন্য ঘটা করে সংলাপের প্রয়োজন ছিল না।আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে বিভিন্ন দল। বুধবার পৃথক বিবৃতিতে এই বিরোধিতার কথা জানায় তারা।বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন ইভিএমের ত্রুটি রেখে এ পর্যন্ত ব্যবহৃত ইভিএম মেশিনই কেনার কথা বলেছে। এর ফলে ইভিএম ব্যবহারের সপক্ষে কোনো যুক্তি ভোটারদের বিশ্বাসযোগ্যতা পাবে না। নির্বাচন ও ভোট নিয়ে যে বিতর্ক চলছে, সেটাও অব্যাহত থাকবে। এ সম্পর্কে সন্দেহ ও অবিশ্বাস দূর করতে এসব বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিলেই শুধু ইভিএম নিয়ে বিতর্ক নিরসন করা সম্ভব হবে।বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান পৃথক বিবৃতিতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত মতামত ও নির্বাচন কমিশনের সংলাপে অধিকাংশ দলের বিরোধিতার পরও জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত একেবারেই অবাঞ্ছিত। এই সিদ্ধান্ত দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে তাদের এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানাই।