বিষয়টি জানিয়ে মঙ্গলবার শাহবাগ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন এই আইনজীবী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এরশাদ হোসেন রাশেদকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। কয়েকটি অজ্ঞাত নাম্বার থেকে এমন হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন এই আইনজীবী।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, গত ২১ আগস্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান তিনি। সেই নোটিশ পাঠানোর পর দেশ ও বিদেশ থেকে তার কাছে নানা ধরনের ফোন আসছে এবং তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সবশেষ আজ ২৩ আগস্ট সকাল সোয়া ১০টা থেকে শুরু করে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অন্তত তিনটি ফোন আসে এবং ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে বলা হয়, তাকে গুলি করে মেরে ফেলা হবে। অভিযোগপত্রে তিনি সেই তিনটি অজ্ঞাত নাম্বার উল্লেখ করেছেন এবং আইনি সহায়তা চেয়েছেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যেদিন নোটিশটি দিয়েছি সেদিন থেকে আমার কাছে বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তির ফোন আসছে এবং আমি যেন বিষয়টি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি না করি, দ্রুত সমাধান করি ও থেমে যাই বলেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল সোমবার রাতেও ফোন এসেছে। কিন্তু আমি রিসিভ করিনি। আজ মঙ্গলবার সকালে অফিসে গেলে সকাল সোয়া ১০টার দিকে একটি ফোন আসে।’
‘ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, বিষয়টি সমাধান করবে কি না না বল, তা না হলে তোকে গুলি করে মেরে ফেলা হবে। এ সময় আমি ওই ব্যক্তির পরিচয় জানতে চাইলে পরিচয় দেননি। পরে আরও দুটি ফোন থেকে কল আসে এবং তারা আমাকে গালিগালাজ করে। দুটির মধ্যে একটি ফোনে বলা হয়, আমাকে হাইকোর্টের সামনে গুলি করে মেরে ফেলা হবে। এই বলে ফোনটি কেটে দেন সেই ব্যক্তি। এমন হুমকি আসার পর থেকে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ কারণে বিষয়টি জানিয়ে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।’
শাহবাগ থানার ওসি মওদুদ হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তারা বিষয়টি তদন্ত করছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেনকে পদত্যাগের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেধে দিয়ে গত ২১ আগস্ট লিগ্যাল নোটিশ পাঠান এই আইনজীবী।
নোটিশে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে আপনি ভারত সরকারকে যে অনুরোধ করেছেন, এটা আপনি করতে পারেন না। কারণ সংবিধানে বলা হয়েছে, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। আপনি সংবিধানবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। আপনি মন্ত্রী পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
গত ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরের জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, সেটি করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছি।
তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দল বা সরকারের পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে এমন কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এমনকি আবদুল মোমেন আওয়ামী লীগের কেউ নন বলেও দাবি করেন দলের নেতারা। যদিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে রয়েছেন।
এনডিটিভি এখন গুগল ইনডেক্সে ক্লিক করলেই সর্বশেষ সংবাদ