" />
মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিব আল হাসানও একবাক্যে স্বীকার করে নিলেন নিজেদের ফিল্ডিং দুর্বলতার কথা। সাকিব বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়না আমরা কখনোই ভাল একটা ফিল্ডিং দল হিসেবে ছিলাম। সেটা তো আমাদের জন্য হতাশাজনক। সেই জায়গাতে যদি আমাদের উন্নতি করতে হয় আমার মনে হয় মানসিকতার পরিবর্তন খুব গুরুত্বপূর্ণ। ফিল্ডিংটা আসলে একটা জায়গা যেখানে রাতারাতি উন্নতি করাও সম্ভব, আবার যদি একটু ভয় থাকে সেটায় আসলে আপনার উপরে অনেক নেগেটিভ প্রভাব পড়ে।’ আসন্ন এশিয়া কাপের প্রস্তুতি নিতে গতকাল নিজেদের মধ্যে লাল দল ও সবুজ দলে ভাগ হয়ে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিলেন স্কোয়াডের ক্রিকেটাররা। ব্যাটারদের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেলেও ফিল্ডিংয়ের চিত্রটা ছিল আগের মতোই। গতকালও ফিল্ডারদের হাত ফসকে গেছে কয়েকটি ক্যাচ। পুরনো এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে না পারলে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে কেবল দুর্ভোগই বাড়বে বাংলাদেশের।
ক্যাচ মিস হতেই পারে, এমনটা মনে করেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। তবে সাকিবের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো অ্যাপ্রোচ, ‘মিস করবেই কারণ এটা পৃথিবীর সেরা থেকে সেরা খেলোয়াড়রাও করেছে। যেটা হচ্ছে আপনি কতটা সাহস নিয়ে আসলে এটা উপভোগ করার চেষ্টা করেন সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে আমার মনে হয় যে ব্যর্থতার হারটা কমে আসবে। আমি বলছিনা যে আমরা ফেল করবো না, ফেল আমরা করতেই পারি কিন্তু আমাদের অ্যাপ্রোচটা কি এটা অনেক ইম্পরট্যান্ট।’
তবে ফিল্ডিংয়ের মতো অন্য দুই বিভাগে হঠাৎ করে ভালো করবে বাংলাদেশ এমনটা যে সাকিব মনে করেন না সেটা আগেই বলেছিলেন। আজও মনে করিয়ে দিলেন সেটা, ‘আমি এসেই কিছু বদলে দিব, এটা আমার মনে হয়না এটা ভালো বা সঠিক চিন্তা। একটা প্রতিষ্ঠান যখন একটা মানুষকে একটা পজিশনে দেয় তার নির্দিষ্ট কিছু কাজ থাকে। সুতরাং ঐ কাজগুলোই আমার করার ইচ্ছা থাকবে।’
পাশাপাশি নিজেদের সক্ষমতার ওপরে আস্থা রেখে ভাল কিছু করার ওপরও জোর দেন দেশসেরা অলরাউন্ডার, ‘এখানে যা আছে আমার মনে হয়না খুব একটা পরিবর্তন করার দরকার আছে। এগুলাকেই কিভাবে আমরা ভালোমতো ব্যবহার করে বিনিয়োগটা ফেরত পেতে পারি সেটা গুরুত্বপূর্ণ।’