সোমবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় গণতন্ত্র মঞ্চের পথসভায় নেতারা এসব কথা বলেন। আগামী ২৭ আগস্ট গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ ও পদযাত্রা কর্মসূচি সামনে রেখে মোহাম্মদপুর টাউন হল থেকে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত গণসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।সাত দলীয় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, সরকার তার কাছের লোকদের লুটপাটের সুযোগ করে দিতেই জ্বালানি খাতকে আমদানিনির্ভর করেছে। ফলে এখন বৈশ্বিক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা খাদের কিনারায় গিয়ে ঠেকেছে। লুটপাট আর পাচারের ফলে সৃষ্ট ডলার সংকটকে পুঁজি করে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। দাম বাড়ায় লাভবান হচ্ছে সরকারের ছায়াতলে থাকা কতিপয় লুটেরা। চা শ্রমিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী উপহাস করছেন বলেও মত দেন তারা।
এ সময় নেতারা অভিযোগ করেন, সরকার ভীত হয়ে তাদের পথসভায় বাধা দিয়েছে; হামলা করেছে। তারা বলেন, দেশের অর্থনীতি আজ যে বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ছে, এর জন্য দায়ী সরকারের উন্নয়নের নামে লুটপাটের নীতি।
তারা আরও বলেন, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আকাশচুম্বী দামের মধ্যে সারাদেশের চা শ্রমিকরা দৈনিক মাত্র ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলন করছেন। অথচ এই দাবি না মেনে শ্রমিকদের হয়রানি করা হচ্ছে। মালিকপক্ষ তাদের ১৪০ টাকা মজুরি দেওয়ার কথা বলছে। আর প্রধানমন্ত্রী ৫ টাকা যোগ করার কথা বলে শ্রমিকদের সঙ্গে উপহাস করছেন। অবিলম্বে চা শ্রমিকদের জন্য ৩০০ টাকা মজুরির ঘোষণা দেওয়ার দাবি জানান তারা।
কর্মসূচিতে গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া রব, নাগরিক ঐক্যের মোমিনুল ইসলাম, আখতার হোসেন, রাশেদ খান, বহ্নিশিখা জামালী, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বাচ্চু ভূঁইয়া, আকবর খান, কবির হাসান, ইমরান ইমন প্রমুখ বক্তব্য দেন।