রাতে পেলোসি দ্বীপটিতে আসেন। এর পরই বেইজিং তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়। খবর চ্যানেল নিউজ এশিয়ার।যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানে অবতরণ করার পর এ সফরের তীব্র সমালোচনা করেছে চীন।প্রতিক্রিয়ায় চীন বলছে, তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপ ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’।
এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, যুক্তরাষ্ট্র চীনকে দমন করার জন্য তাইওয়ানকে ব্যবহারের চেষ্টা করছে।
এতে আরও বলা হয়, এটি ক্রমাগত এক চীন নীতিকে লঙ্ঘন করে, তাইওয়ানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ বাড়ায় এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উৎসাহ দেয়। এসব পদক্ষেপ আগুন নিয়ে খেলার মতো, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। যারা আগুন নিয়ে খেলা করে তারা এতে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।
বিবৃতিতে তাইওয়ানকে ‘চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে’ অভিহিত করা হয়।
চীন বলছে, তাইওয়ান প্রশ্নে মুখে এক কথা বলা কিন্তু কাজে এর বিপরীতটি করা বন্ধ করা উচিত যুক্তরাষ্ট্রের।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, পেলোসির সফর ‘এক চীন নীতি এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ তিনটি ইশতেহারের বিধানের গুরুতর লঙ্ঘন’।
তবে পেলোসির দাবি, তার তাইওয়ান সফর সম্পূর্ণরূপে তাইওয়ান সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
মঙ্গলবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উড়োজাহাজে করে তাইপে পৌঁছান পেলোসি। তিনি ২৫ বছরের মধ্যে তাইওয়ান সফরে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা। তাকে সেখানে তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ বরণ করে নেন।
তাইওয়ানে পৌঁছানোর পর টুইট করে পেলোসি বলেন, তার প্রতিনিধিদলের সফর ‘তাইওয়ানের গতিশীল গণতন্ত্রের’ প্রতি আমেরিকার অবিচল প্রতিশ্রুতিকে সম্মানিত করেছে।
যদিও তাইওয়ানের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সফরকে কেন্দ্র করে বেইজিংয়ের প্রতিক্রিয়া স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী উভয়টিই হতে পারে।
রোববার পেলোসির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এশিয়ার উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করে। এ সফরে ওই দলের সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান সফর করার কথা রয়েছে।