বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে ২৪টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান। রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।
দালালের খপ্পরে পড়ে বিদেশে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘দেশের যুব সমাজকে আমি বলবো, কেউ দালালের খপ্পরে পড়ে সবকিছু বিক্রি করে বিদেশে যাবেন না। বিদেশে যেতে গেলে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে যেতে পারেন। প্রয়োজনে বিনা জামানতেও ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা আছে। যাতে জমিজমা বিক্রি না হয়, সম্পত্তি বিক্রি না হয়, তার জন্যই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক তৈরি করা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা করেন। মালয়েশিয়াসহ যেখানেই গিয়েছেন, সেখানেই তিনি এ ব্যাপারে কাজ করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের বেসরকারি খাতও এ ব্যাপারে যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা যখনই ক্ষমতায় এসেছি, তখনই চেষ্টা করেছি, যেন মানুষ স্বনির্ভরশীল হতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর আমার লক্ষ্য ছিল, জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে তুলে দেওয়া এবং মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘শুধু ডিগ্রি নিয়ে বসে থাকলে হবে না। নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে হবে। স্বতঃপ্রণোদিত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা আমাদের লক্ষ্য। আমরা সেভাবেই কাজ করেছি। দেশকে ডিজিটাল করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার ব্যবস্থা নিয়েছি আমরা। এরই মধ্যে আমরা এর সুফলও পাচ্ছি।’
সারা বিশ্বের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উন্নত দেশগুলো জ্বালানি সাশ্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে, আমরাও নিয়েছি।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ। সেখানে ৩৮ শতাংশ যুব সমাজ। এই যুব সমাজকে আমরা শুধু বিদেশে পাঠাব এটা ভাবলে চলবে না। আমরা দেশে যে অর্থনৈতিক অঞ্চল করছি সেখানেও দক্ষ জনশক্তি লাগবে। কাজেই আমরা প্রশিক্ষণ দেব, বিদেশের পাশাপাশি দেশেও কাজ করবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গৃহকর্মী পাঠাই, তাদেরকে আমরা প্রশিক্ষণ দেই। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো আমরা যে প্রশিক্ষণটা দেই সেটা তারা যথাযথভাবে নেয় না। প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় যে টাকাটা দেওয়া হয় সেটা নেয়। কিন্তু প্রশিক্ষণটা নেয় না। পরে বিদেশে গিয়ে বিপদে পড়ে।’
তিনি বলেন, ‘রপ্তানি নির্ভর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দিকে আমাদের গুরুত্বারোপ করতে হবে। আমরা পণ্য যেমন উৎপাদন করব পাশাপাশি পণ্যের নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করতে হবে।’