মুর্মুকে তার জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাতে যশবন্ত সিনহা টুইট করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি আমার সমর্থকদের সাথে নিয়ে ২০২২ সালের ভারতীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী দ্রৌপদী মুর্মুকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। ভারত আশা করে যে প্রজাতন্ত্রের ১৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি কোনো ভয় বা পক্ষপাত ছাড়াই সংবিধান রক্ষায় কাজ করবেন।’ভারতের প্রথম আদিবাসী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন এনডিএ’র প্রার্থী দ্রৌপদী মূর্মু। নির্বাচকদের মোট ৩২১৯ ভোটের মধ্যে দ্রৌপদী পেয়েছেন ২,১৬১ ভোট। অন্যদিকে বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহা পেয়েছেন মাত্র ১,০৫৮ ভোট। দ্রৌপদী মূর্মুর প্রাপ্ত ভোটের মূল্য (৫,৭৭,৭৭৭) পাঁচ লাখ ৭৭ হাজার সাত শ’ ৭৭। অন্যদিকে যশবন্তের প্রাপ্ত ভোটের মূল্য ২ লক্ষ ৬১ হাজার ৬২।
৬৪ বছর বয়সী মুর্মু প্রথম আদিবাসী ও দ্বিতীয় নারী যিনি এখন ভারতের শীর্ষ গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক ও দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত হলেন। তিনি ২০০০ এবং ২০০৪ সালে ওড়িশা বিধানসভায় দু’মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়া তিনি ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের বিজেডি-বিজেপি জোট সরকারে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ২০১৫ সালে ঝাড়খণ্ডের প্রথম মহিলা রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নেন।
বিভিন্ন দল দ্বারা প্রসারিত সমর্থনের ভিত্তিতে, জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহার চেয়ে স্পষ্টভাবেই এগিয়ে ছিলেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোটদান সোমবার শেষ হয়েছে। ৪,৭৯৬ যোগ্য নির্বাচকদের মধ্যে ৯৯ শতাংশেরও বেশি এ ভোটে অংশ নেন। তাদের মধ্যে ৭৭১ জন এমপি ও ৪,০২৫ জন বিধায়ক এ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেন।
জয়ের পরেই দ্রৌপদী মুর্মুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রাী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের যে সকল এমপি ও বিধায়করা দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন জানিয়েছেন, তাদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
তার জয়ের পরেই শুরু হয়েছে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানো। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা অভিনন্দন জানিয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মুকে।
বিরোধী দল থেকে রাহুল গান্ধী অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে।