বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতুর টোল আদায়কারী কর্মকর্তা তানিয়া আফরিন।নিজের গাড়ির জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে টোল গুণতে হয়েছে ৭৫০ টাকা। অবশ্য শুধু নিজের গাড়িই নয়, তার বহরের সবকটি গাড়ির টোলও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেজন্য আরও ১৬ হাজার ৪০০ টাকা দিতে হয়েছে তাকে। টোল আদায়ের মাধ্যমে আয় শুরু হলো পদ্মা সেতুর।
শনিবার (২৫ জুন) সেতু উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী ও তার গাড়িবহর টোল দিয়ে সেতুর পার হওয়ার মধ্য দিয়ে টোল আদায় শুরু হয় দেশের দীর্ঘতম সেতুটির। বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে নিজ হাতে নির্ধারিত টোল দেন সরকারপ্রধান।তানিয়া বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রথমে নিজের গাড়ির টোল দিয়েছেন। বাকি বহরের টাকাও তিনি পরিশোধ করেছেন।’
টোল প্লাজাতে নারী ইনচার্জ দেখে প্রধানমন্ত্রী খুব উচ্ছ্বসিত হয়েছে বলে জানান তানিয়া। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জানতে চেয়েছেন আমার কেমন লাগছে। আমি আমার অনুভূতি ব্যক্ত করেছি। প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি দেখতে পেয়ে আমার স্বপ্নও পূরণ হলো।’
এর আগে বেলা ১২টায় মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। পরে সেতু দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর জাজিরার অভিমুখে রওনা হয়।
তারও আগে সকাল ১০টায় হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে মুন্সিগঞ্জের দোগাছি পদ্মা সেতু সার্ভিস এরিয়া-১ এ পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে পদ্মা সেতুর উত্তর থানা সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। সমাবেশে অংশ নেন সাড়ে ৩ হাজার সুধীজন। যাদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বিশিষ্ট নাগরিক ও সাংবাদিকরা।
সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন করেন। মোনাজাতে অংশ নেন।