আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান এবং সহসভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদের প্রচেষ্টায় বরাদ্দকৃত এই ত্রাণ বিতরণে সহায়তা করবে সেনাবাহিনী।সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে, তবে দুর্ভোগ কাটেনি মানুষের। এখনও খাদ্য ও সুপেয় পানির সংকটে বহু মানুষ। বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকায় থাকা অনেক পরিবার এখনও সরকারি-বেসরকারি কোনো সহায়তাই পায়নি।
এই দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি), বাংলাদেশ। দেশের শীর্ষস্থানীয় পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনায় তারা সুনামগঞ্জের ১১ উপজেলার তিন হাজার অসহায় পরিবারকে দিচ্ছে শুকনো খাবারসহ জরুরি ত্রাণসামগ্রী।ত্রাণ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা হা-মীম গ্রুপের কর্মকর্তারা জানান, বন্যাদুর্গতদের জন্য প্রথম ধাপে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে আইসিসি বাংলাদেশ। সেই অর্থে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে প্যাকেটজাত করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে- খেজুর, গুড়, লবণ, সাবান, গ্যাস লাইটার, ওরস্যালাইন, গুঁড়া দুধ, চা, টোস্ট বিস্কুট, বনরুটি, মোমবাতি, চিড়া ও বিশুদ্ধ পানি। প্রতিটি পরিবার এই ১৩টি উপাদানের একটি করে প্যাকেট পাবে।
এগুলো নিয়ে ঢাকা থেকে সিলেটে যাচ্ছেন হা-মীমের দু’জন কর্মকর্তা। তারা শুক্রবার সিলেটে জালালাবাদ সেনানিবাসের মাল্টিপারপাস হলে সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার দু’জন কর্মকর্তার কাছে ত্রাণ হস্তান্তর করবেন। এরপর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তা বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের মধ্যে বিতরণ করবে সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার বিকেলে হা-মীম গ্রুপের প্রধান কার্যালয় রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের টাইমস মিডিয়া ভবনের দোতলায় গিয়ে দেখা যায় ত্রাণসামগ্রী প্রস্তুতের কার্যক্রম। অর্ধশতাধিক মানুষ বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে কাজ করছেন। কেউ ত্রাণসামগ্রী ডিজিটাল ওয়েট মেশিনে মাপছেন, কেউ আবার তা প্যাকেটে ভরছেন। পরে ছোট ছোট প্যাকেট একটি বস্তায় ভরা হচ্ছে। আর তাদের কাজ তদারক করছেন সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা।
তাদেরই একজন হা-মীম গ্রুপের উপমহাব্যবস্থাপক মেজর (অব.) মো. সালাহ্উদ্দিন সমকালকে বলেন, প্রথম দফায় পাঠানোর জন্য জরুরি ত্রাণসামগ্রী প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে। এখানে কাজ করছেন প্রায় ৭০ জন। ত্রাণ কমিটির সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন হা-মীমের হেড অব পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি তনুল চক্রবর্ত্তী। বন্যাপীড়িত মানুষের পক্ষে এখন রান্না করে খাওয়া সম্ভব নয় বলে শুকনো খাবার ও অন্যান্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে।