বুধবার (২২ জুন) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত ‘বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে পদ্মা সেতুর অবদান’ শীর্ষক সেমিনারে মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেছেন, ২০২৭ সালে বাংলাদেশের জিডিপির আকার হবে ৬৩ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬ লাখ কোটি টাকা হবে দক্ষিণাঞ্চলের কারণে। অর্থনীতিবিদরা দুই ভাগ বা এক ভাগ কোথা থেকে বলেন, তা আমার বুঝে আসে না।২০২৭ সালে জিডিপির ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ অবদান থাকবে পদ্মা সেতুর কারণে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত।ড. বারাকাত বলেন, পদ্মা সেতু খোলা মাত্রই জিডিপি বেড়ে যাবে ও শিল্প-কারখানা হয়ে যাবে, তা হবে না। আমি ব্যাংকগুলোতে দেখছি গত দুই বছরে শিল্প-কারখানার যত প্রস্তাব এসেছে তার অধিকাংশই পদ্মার ওপারের অঞ্চলের মানুষের কাছ থেকে এবং এর অধিকাংশই কৃষিভিত্তিক শিল্প। এর মানে হলো মানুষ ভাবা শুরু করেছে ওই অঞ্চলের শিল্প তোলার জন্য।অর্থনীতিবিদ বলেন, বিশ্বব্যাংক হিসাব দিয়েছে যে বাংলাদেশে আগামী ২০২৭ সালে জিডিপি ৫৭ লাখ কোটি টাকা হবে। যা বর্তমানে রয়েছে ৩৯ লাখ কোটি টাকা। হিসাবটা একটু ভুল। এর মধ্যে পদ্মা সেতুর কারণেই বাড়বে এটা যোগ করা নেই।তিনি বলেন, অর্থনীতিবিদরা পদ্মা সেতুর অবদানের কথা বলতেই জিডিপিতে অবদান কী সেটা নিয়ে কথা বলছেন, যা ঠিক না। পদ্মা সেতু নিয়ে অর্থনীতিবিদদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সম্প্রীতি এই নৈতিক বিষয়গুলো যখন সম্পৃক্ত হয় না।