এরইমধ্যে ডিপোর নতুন নকশা তৈরির প্রাথমিক কার্যক্রমও শেষ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বিষয়টি জানিয়ে সরকারি ১০ সংস্থাকে চিঠি দিয়েছে বিএম কনটেইনার ডিপো কর্তৃপক্ষ।চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর অবয়বে পরিবর্তন আসছে। অপারেশনাল কার্যক্রম পুনরায় শুরু না হলেও ডিপোটিকে নতুন করে তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ডিপো কর্তৃপক্ষ।
ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে এখানে প্রাণ হারান ৪৯ জন। যাদের অধিকাংশই এ ডিপোর কর্মকর্তা-কর্মচারী। ওই দুর্ঘটনায় আহত হয়ে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও অনেকেই। এত হতাহতের শোক আর আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে আবারও উঠে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে বিএম ডিপো।গত ৪ জুন রাত ৯টায় বিস্ফোরণের পর থেকে ডিপোর অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে চিঠি দিয়ে ডিপোর অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ রাখে কাস্টমস কর্তৃপক্ষও। দুর্ঘটনার পর গঠিত হয় বেশ কয়েকটি তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটিগুলো তাদের কাজ এখনো শেষ না করলেও বন্দর ও কাস্টমসের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ডিপোতে থাকা কন্টেইনারগুলো পরীক্ষার কাজ শুরু করেছে ডিপো কর্তৃপক্ষ।এরইমধ্যে পণ্যভর্তি ১৫শ টিইইউ’স কন্টেইনার অক্ষত হিসেবে পাওয়া গেছে বলে বিএম ডিপো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তার মধ্যে ৮৫০ টিইইউ’স রপ্তানি পণ্য এবং বাকিটা আমদানি পণ্য। এসব পণ্যের মধ্যে তৈরিপোশাক, নিটওয়্যার, অ্যাগ্রো প্রসেস ফুডসহ বিভিন্ন ধরনের রপ্তানি পণ্য রয়েছে। পাশাপাশি খাদ্যসামগ্রীসহ শিল্পের বিভিন্ন কাঁচামাল বাদেও রয়েছে প্যাকেজিং সামগ্রীও।গত কয়েকদিন আগে ডিপোর অপারেশনাল কার্যক্রম চালু করার জন্য বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় ডিপো কর্তৃপক্ষ। তবে এসব পণ্য খালাস কিংবা রপ্তানির বিষয়ে এখনো কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কোনো সাড়া দেয়নি বলে জানা গেছে।আমদানি ও রপ্তানি খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা বলছেন, আমদানি করা কাঁচামাল না পাওয়ায় অনেক প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া রপ্তানি পণ্যগুলোর জাহাজীকরণের মেয়াদ পেরিয়ে যাচ্ছে। চুক্তি মোতাবেক নির্ধারিত সময়ে পণ্য পাঠাতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে অর্ডার হারানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাছাড়া রপ্তানি পণ্যের মধ্যে অনেক পচনশীল খাদ্যপণ্য থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রপ্তানিকারকরাও।