বুধবার (২২ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
পদ্মা সেতুর দুর্নীতি ও সমালোচনা আড়াল করতেই সরকার ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ সাজিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর কাজে দুর্নীতিবাজরা পাগলা ঘোড়ার মতো বেসামাল হয়ে পড়েছে। মানুষের সমালোচনাকে আড়াল করতেই দমননীতি কার্যকর করা হচ্ছে।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের সমাজের অভ্যন্তরে অঘোষিত যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। ক্ষমতা অজেয় ও তার কর্তৃত্ব অনতিক্রম্য। কয়েকদিন আগে তিনি আরও বেশি ক্ষমতা চান বলে জানিয়েছেন। এই মনোবৃত্তি হিটলার-মুসোলিনী’র মতো। এখনই যে ক্ষমতা তাতে গণতন্ত্র, নির্বাচন ও বাকস্বাধীনতা দুমড়ে-মুচড়ে দেওয়া হয়েছে। আরও বেশি ক্ষমতা পেলে তিনি দেশটাকে কোন পর্যায়ে নিয়ে যাবে তা চিন্তা করতেও গা শিউরে ওঠে। তখন আর্তনাদ আর হাহাকারে দেশটা ভরে উঠবে। অন্ধকার প্রতিক্রিয়া ও দাসত্বের বাতাবরণ শুরু হবে। শেখ হাসিনা আরও বেশি ক্ষমতার পেলে জনগণের বিবেক, চিন্তার স্বাধীনতা ও আলো-অগ্রগতি চিরতরে ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে।
বিএপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আসলে এক দেশে দুই আইন। ক্লাবসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর আওয়ামী নেতাকর্মীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। অনেক রাত পর্যন্ত তারা ক্লাবে আড্ডা দেয়, নানাবিধ কর্মকাণ্ড চালায়। তাদের জন্য সাত খুন মাফ। অথচ কোনো শিক্ষকের আমন্ত্রণে বিরোধী দলের নেতারা সেখানে অবস্থান করলেই তারা নাশকতার গন্ধ পায়।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, অন্য দেশের অনেক শিক্ষক-বুদ্ধিজীবীকে অহরহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রশাসনের অগোচরে। তারা দিব্যি সারা বিশ্ববিদ্যালয়ে দাপিয়ে বেড়ায়। মূলত সরকার তাদের সমালোচনাকারীদের কড়া নজরদারীর মধ্যে রেখেছে। এখন মানুষের দেহ ও মন সার্বক্ষণিক নজরদারীর মধ্যে।এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু ও কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।