মঙ্গলবার (২১ জুন) সকালে ১০টার দিকে তিনি হেলিকপ্টারযোগে সিলেটে এসে পৌঁছান। এরপর দুপুরের দিকে তিনি প্রথমে সিলেট নগরীতে হজরত শাহজালালের (রহ.) মাজার জিয়ারত করেন। তিনি সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও ফাতেহা পাঠ এবং মোনাজাত করেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনার বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী সিলেটের হযরত শাহ জালাল (রা.) ও হযরত শাহ পরানের (রা.) মাজার জিয়ারত করেন। এসময় তিনি বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া মোনাজাত করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী হজরত শাহ পরান (রহ.) এর মাজার পরিদর্শন করেন। তিনি সেখানেও পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও ফাতেহা পাঠ এবং মোনাজাত করেন।
এর আগে আজ সকাল ৮টায় ঢাকার তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারযোগে তিনি বন্যা পরিস্থিতি দেখতে যাত্রা শুরু করেন। টানা দুই ঘণ্টার সফরে তিনি কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও সিলেটের যেসব এলাকায় বন্যা উপদ্রুত হয়েছে, সেসব এলাকা তিনি পরিদর্শন করেন। সকাল ১০টার দিকে হেলিকপ্টার যোগে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে পৌঁছান। পরে সেখান থেকে সিলেট সার্কিট হাউজে যান।
সেখানে প্রধানমন্ত্রী বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসনের বিষয়ে এক ‘মতবিনিময় সভায়’ অংশ নেন। সভায় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বন্যা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। বন্যা মোকাবিলায় সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। সিলেট অঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সহায়তা দেওয়া হবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের যত খাদ্য ও ওষুধ লাগে সব দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘বন্যায় মাছচাষিরা যাতে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন সেজন্য ব্যবস্থা নেবে সরকার। বন্যায় যারা কাজ করছেন, তাদেরও সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার ও বিরোধী দল সব অবস্থাতেই সবার আগে দুর্গত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে যায়। আমি বন্যাপ্রবণ এলাকার মানুষ। বন্যায় আমাদের বসবাস। আমি বন্যাকবলিত মানুষের কষ্ট বুঝি।’