সোমবার (২০ জুন) বেলা সাড়ে ১২ টার সময় বেনাপোল বন্দর ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে এ উপহার পাঠানো হয় ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে।
এসময় ভারতে নিযুক্ত কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ হাই কমিশনের ডেপুটি থার্ড সেক্রেটারী মারিফাত তারিকুল ইসলাম আমের প্যাকেটগুলো গ্রহন করে ভারতীয় প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর জন্য এক হাজার কেজি মৌসুমী ফল আম উপহার পাঠিয়েছেন। এই উপহার দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যদের সম্পর্ক আরও জোরদার করবে মনে করছেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা।এর আগে সকালে সড়ক পথে বেনাপোল স্থলবন্দরে উপহারের আম পৌঁছে যায়।
কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ হাই কমিশনের ডেপুটি থার্ড সেক্রেটারী মারিফাত তারিকুল ইসলাম বলেন, মৌসুমি ফল আম ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী উপহার দিলেন। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের যে সোনালী অধ্যায় পার হচ্ছে তারই স্বারক স্বরুপ বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরের মতো এবারও কোলকাতার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর জন্য শুভেচ্ছা স্বরুপ আম পাঠিয়েছেন। এর মাধ্যমে দুদেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক সুদৃড় হবে আমরা আশা করি। এ শুভেচ্চা উপহারে দুদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে অনেক বড় ভুমিকা রাখবে।
এর আগে গত বছরও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদিকেও এক ট্রাক বাংলাদেশের রংপুরের বিখ্যাত হাড়িভাঙ্গা আম পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের এ আমের চালান ঢাকায় নিযুক্ত কোলকাতা হাইকমিশন পাঠান এবং বেনাপোলে রবি ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট চালানটি বেনাপোল কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতার কাজ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ন চন্দ্র পাল, নাভারন সার্কেল এএসপি জুয়েল ইমরান, বেনাপোল স্থল বন্দরের উপ পরিচালক মামুন কবীর তরফদার, কাস্টমসের উপ কমিশনার তানভির আহমেদ, কলকাতা উপ হাইকমিশনের প্রটোকল সহকারি আজিজুল আলম, এস কে ইমাদ, শার্শা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তার, ভারতের পক্ষে পেট্রাপোল কাস্টমসের সুপারিন্টেন্ডেন্ট প্রবীণ ঘটক, বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন ভুইয়া প্রমুখ।