নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারতের জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের (জেসিসি) সপ্তম দফার বৈঠকে এ কথা বলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্কর। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।বাংলাদেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে যে বন্যা দেখা দিয়েছে তাতে সহমর্মিতা জানিয়েছে ভারত। একই সঙ্গে বন্যা মোকাবিলা ও এর থেকে উত্তরণে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় দেশটি।
এসময় জয়শঙ্কর বলেন, আমরা বন্যা ব্যবস্থাপনা নিয়ে তথ্য শেয়ার করছি। বন্যা ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় যদি কোনো সুনির্দিষ্ট উপায়ে আপনাদের (বাংলাদেশকে) সাহায্য করতে পারি তাহলে খুব খুশি হবো।
নদী সংরক্ষণে বাংলাদেশ-ভারতকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ৫৪টি নদী ভাগাভাগি করি। এসব নদীগুলোর ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ আমাদের দায়িত্ব। পরিবেশ রক্ষা আমাদের অঙ্গীকারেরও অংশ।
মোমেন-জয়শঙ্কর অভিন্ন নদী ও পানি ব্যবস্থাপনা, তথ্যপ্রযুক্তি ও সাইবার নিরাপত্তা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসই বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর ও জোরদার করার পাশাপাশি একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে সম্মত হন।
গত মাসের শেষে আসামের গুয়াহাটিতে নদী সম্মেলনের ফাঁকে আলোচনা হয়েছিল মোমেন-জয়শঙ্করের। তার কিছুদিন আগে বাংলাদেশ সফর করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। অল্প সময়ের মধ্যে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত সাক্ষাৎ আমাদের অনন্য বন্ধুত্বের প্রতিফলন।’
সপ্তম ভারত-বাংলাদেশ জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনে যোগ দিতে শনিবার দিল্লিতে পৌঁছান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। রোববার বিকালে কমিশনের বৈঠক শুরুর আগে একান্ত বৈঠক করেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।