এই দুর্যোগে বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান। নিউইয়র্কে বসেই বানভাসি মানুষগুলোর জন্য কিছু করতে চান। গঠন করতে চান বড় তহবিল, দিতে চান সহায়তা।ভয়াবহ বন্যায় ভাসছে দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল। সিলেট ও সুনামগঞ্জের অধিকাংশ এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে দুর্বিসহ দিন পার করছেন। প্রতিনিয়ত বন্যার পানির উচ্চতা বেড়েই যাচ্ছে। পরিস্থিতি এতোটাই প্রতিকূল যে, পর্যাপ্ত সহযোগিতাও করতে পারছে না প্রশাসন।
খান বার্তা পাঠান, ‘এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও প্রতিনিয়ত খবর পাচ্ছি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেট ও সুনামগঞ্জের মানুষ ভালো নেই। বন্যা পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ দিকে যাচ্ছে। বন্যা কবলিত মানুষের দুর্দশা আমাকে ভীষণভাবে কষ্ট দিচ্ছে। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অসহায় মানুষের পাশে আমি আছি। তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে আমার সামর্থ্যের মধ্যে অর্থ সহায়তা পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছি।’
জানা গেছে, নিজের তহবিল থেকেই এরমধ্যে বড় দাগের অর্থ প্রদান করেছেন শাকিব খান। তবে এখানেই তিনি থামতে রাজি নন। উদ্যোগে নিয়েছেন সমন্বিত প্রচেষ্টার।
শাকিব বলেন, ‘এতো বড় দুর্যোগে আমার একার পক্ষে তো আর সম্ভব নয়। তাই একটি তহবিল গঠনের কথা ভেবেছি; যা থেকে প্রাপ্ত অর্থ ও অন্যান্য সহায়তা পৌঁছে যাবে কষ্টে থাকা সেই সব বানভাসি মানুষের সাময়িক সংকট মোকাবিলায়।’
এই লক্ষ্যে টিম শাকিব খান খুলেছে একটি ইমেইল ঠিকানা- skhumanity1@gmail.com। এর মাধ্যমে যোগাযোগ করে দেশ-বিদেশের যে কেউ পাঠাতে পারবেন আর্থ সহায়তা, নানা সরঞ্জাম, ঔষধ বা পণ্য। সেটি বানভাসি মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে টিম শাকিব খান।
এই নায়ক সবার প্রতি আহ্বান করে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও প্রবাসে থাকা আগ্রহী বিত্তবানদের কাছে আমি আহ্বান করছি- আপনারাও নিজেদের সামর্থ্যের মধ্য থেকে বানভাসি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোক।’
শাকিব খান যুক্তরাষ্ট্রে বসে সম্প্রতি দুটি সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত আছেন পরিকল্পনার মাঠে। দুটোই নির্মাণ করছেন হিমেল আশরাফ। একটির নাম ‘রাজকুমার’ অন্যটি ‘মায়া’। দুটোই নির্মিত হবে এসকে ফিল্মস-এর ব্যানারে। এরমধ্যে ‘মায়া’র জন্য ৬৫ লাখ টাকার অনুদান মিলেছে সরকারের পক্ষ থেকে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সুনামগঞ্জের পর সিলেট জেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় সিলেট রেলস্টেশন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।