খবরে বলা হয়, মার্ক ফোগেল মস্কোয় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে কাজ করতেন। গ্রেপ্তার হওয়ার সময় তিনি ওই শহরের একটি প্রতিষ্ঠানে ইংরেজি ভাষার শিক্ষক ছিলেন।
গাঁজা চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে মস্কোয় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কূটনীতিক মার্ক ফোগেলকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন রাশিয়ার একটি আদালত।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।
মার্কিন বাস্কেটবল তারকা ব্রিটনে গ্রিনারের শুনানি যে আদালতে চলছে সেখানেই সাজা দেওয়া হয় ফোগেলকে।
যুক্তরাষ্ট্রের অনেক জায়াগায় গাঁজা বৈধ কিন্তু রাশিয়ায় অবৈধ।
মস্কোর শহরতলি খিমকির একটি আদালত বিবৃতিতে জানান, আমেরিকার নাগরিক ফোগেল দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ইংরেজি ভাষার ওই শিক্ষক ‘বড় আকারের গাঁজা চোরাচালানে’ জড়িত। তার কাছে ‘বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য ছাড়া গাঁজার বড় আকারের অবৈধ মজুত ছিল’।
৬০ বছর বয়সি ফোগেল আইনজীবীদের জানান, ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট যখন তিনি শেরেমেতিয়েভো বিমানবন্দর থেকে ধরা পড়েন তখন তার লাগেজে ১৭ গ্রাম গাঁজা ছিল।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ফোগেল কতটুকু গাঁজা বহন করছিলেন সে বিষয়ে কিছু জানায়নি। তাবে রাশিয়ার আইন অনুযায়ী, গাঁজার পরিমাণ অন্তত ১০০ গ্রামের বেশি হলে তাকে ‘বড় চালান’ বলা হয়।
ফোগেল বলেন, মেরুদণ্ডের অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসক আমাকে গাঁজা সেবনের পরামর্শ দিয়েছেন। গাঁজা রাশিয়ায় অবৈধ বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না।
রাশিয়ার ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি জানায়, ফোগেল গাঁজা চোরাচালান, মজুত, পরিবহন, উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
তার সাজার খবর এমন সময় এল যখন খিমকির আদালত গ্রিনারের শুনানির তারিখ পিছিয়েছেন।
রাশিয়ার জেলে যুক্তরাষ্ট্রের বহু নাগরিক সাজা ভোগ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের জেলেও রয়েছে রাশিয়ার বহু নাগরিক। চলতি বছরের এপ্রিলে দুই দেশ বন্দি হস্তান্তরে রাজি হয়। এর পর যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এক নৌসেনাকে মুক্তি দেয় রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রও মুক্তি দিয়েছে রুশ এক পাইলটকে, যিনি ২০১০ সাল থেকে জেলে ছিলেন।